খাগড়াছড়িতে একটি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি জমা দেয়ার সুবিধার্থে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, খাগড়াছড়ি শাখার অফিসারগণ উক্ত স্কুলের একটি সুবিধাজনক কক্ষে বসে ফি সংগ্রহ করে এবং সংগৃহীত টাকা ব্যাংকে জমা প্রদান করে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত ব্যাংক এর ম্যানেজারের নির্দেশে ব্যাংক এর অভিযুক্ত অফিস পিয়ন শৌখিন চাকমাকে স্কুলে শিক্ষার্থীদের বিবিধ ফি বাবদ টাকা সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করা হলে সে ঐ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ফি বাবদ সর্বমোট ৯,৬৯,১৫০/- (নয় লক্ষ উনসত্তর হাজার একশত পঞ্চাশ) টাকা সংগ্রহ করে এবং ব্যাংকে জমা না দিয়ে উপরোক্ত অর্থ সহ আত্মগোপন করে। এই বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি সদর থানায় শৌখিন চাকমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সূত্রে জানা যায় শৌখিন চাকমা পানছড়ির বড় কলক ধন্যচন্দ্র পাড়া এলাকার রঙ্গলাল চাকমার ছেলে।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম এর নেতৃত্বে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, মামলার আইও সহ অন্যান্য অফিসারদের সমন্বয়ে তদন্ত, আসামী গ্রেফতার ও আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।
পুলিশ সুপারের তত্ত্ববধানে ও তদারকিতে বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক তদন্ত কৌশলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত টিম ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল আসামী শৌখিন চাকমাকে ঢাকা জেলার গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেফতার করে এবং আসামীর উপস্থাপন মতে তার নিকট হতে ব্যাংক এর আত্মসাৎকৃত নগদ ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী শৌখিন চাকমা অত্র মামলার দায় স্বীকার করে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান খাতে সংঘটিত গুরুতর অপরাধের মূল অভিযুক্তকে অল্প সময়ে গ্রেফতার সহ আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করতে পেরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ স্বস্তি বোধ করছে। ভবিষ্যতে অনুরূপ যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সর্বদাই সচেষ্ট থাকবে।