• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সিমান্তে শান্ত ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি,

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিয়ানমার জান্তা সরকারের মাঝে গত কয়েকদিনে ব্যাপক গোলাগুলি এবং সীমান্ত ঘেঁষে ওপারে কামানের গোলা নিক্ষেপের পাশাপাশি বিমান থেকে গোলা বর্ষণ করার কারনে নিরাপত্তা বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকার ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি মাদ্রাসা এবং একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ঘুমধুম সীমান্তে রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন ধরনের গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আজিজ।তিনি জানান সকাল থেকে এখানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে সীমান্তের উত্তেজনা কিছুটা কমার কারনে সাময়িক বন্ধ হওয়া ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় এবং সীমান্তের ১০০ গজ দুরত্বে থাকা মিশকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসা খুলে দেয়ার কথা যানান বান্দবান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
মুঠোফোনে জানান জানান সীমান্তের পরিস্থিতি আজকে স্বাভাবিক হওয়ায় শিক্ষা কর্যক্রম চলছে তবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান বলেন আজ সকাল থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে গোলাগুলির কোন ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি তাই গতকাল বন্ধ হওয়া ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে।তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। প্রসঙ্গত মায়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। এ অবস্থায় মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। তিনি গত (২৮ জানুয়ারি) বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীন, উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীন হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ নির্দেশনা দেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ