থ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ এখন জনজীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে পুলিশী তৎপরতা এখন রাজপথের পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আবশ্যক।এই অনুধাবনের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মুক্তাধর পিপিএম (বার) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশে বিশেষ সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেন। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দক্ষ অফিসারগণ অনলাইন পেট্রোলিং, সাস্পেক্ট টেকিং, এন্টিবুলিং ও এন্ট্রি ফ্রড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকেন।
খাগড়াছড়ি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সম্প্রতি অর্জন সমূহের মধ্যে একটি হলো দিঘীনালা থানায় গত ৩১/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে Jim Tuhin নামক একটি ফেসবুক আইডি হতে একটি পিস্তল সাদৃশ্য বস্তু প্রদর্শন করে একটি ভিডিও আপলোড করলে উক্ত ভিডিও দেখে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং নানা রকম ভীতিসঞ্চার মূলক গুঞ্জন তৈরি হয়। অতঃপর বিষয়টি খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার এর নজরে আসলে তার দিক নির্দেশনায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ইউনিট এর প্রচেষ্টায় উক্ত ভিডিও আপলোড কারিকে সনাক্ত করলে দীঘিনালা থানার একটি বিশেষ আভিযানিক দল আসামী মোঃ আল মুনছুর (২০), পিতা: আব্দুল আজিজ, মাতা: সাজেদা বেগম, সাং:উত্তর রশিক নগর, ওয়ার্ড নং: ০৩, ০১ নং মেরুং ইউপি, থানা: দীঘিনালা, জেলা: খাগড়াছড়ি কে তার নিজ বসত বাড়ী হইতে আটক করেন এবং তার হেফাজত হতে বর্ণিত ভিডিও আপলোডের সময় প্রদর্শিত সিলভার রংয়ের গ্যাস লাইটার সংযুক্ত পিস্তল সাদৃশ্য বস্তুটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। ঘটনাটি তদন্তকালে প্রাথমিক ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আসামী জ্ঞাতসারে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে উক্ত পিস্তল সদৃশ্ বস্তুটি নিজের কাছে রেখেছে। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণপুর্বক তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।