প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমি হোসনেয়ারা বেগম একজন অবহেলিত ও স্বামীহারা বিধবা নারী। আমার স্বামী মৃত: নুরুল আলম- সীতাকুন্ড পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের (সাবেক) কাউন্সিলর এবং তৎকালিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে বিগত ২০১০সালের ২৬ জুন নির্মমভাবে খুন হয়। আমার স্বামীর খুনিরা সমাজে প্রভাবশালী এবং অঢেল অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়ায় আইনের অপব্যবহার করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। আসামীরা সমাজে চিহ্নিত হলেও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আমার স্বামীর আপন বড় ভাই মোঃ শাহ আলম থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে। আমার স্বামী খুন হওয়ার পর শাহ আলমের মুখোশ উন্মোচন হয় আমাদের পরিবারের কাছে। স্বামী হত্যার শোক কাটিয়ে উঠার আগেই শাহ আলম আমার এবং আমার এতিম শিশু সন্তানদের উপর শুরু করে নানা ধরনের নির্যাতন ও জুলুম। শাহ আলম আমার স্বামীর পেত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির জবর দখল নিতে মরিয়া ছিলো। আমার স্বামী খুন হওয়ার পর জাল দলিল সৃজন করে আমাদেরকে ভিটে মাটি ছাড়া করতে শুরু করে হামলা ও নির্যাতন। শুধু হামলা নয় মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমি জাল দলিল এর প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সিআর মামলা নং- ২৩২/২০২৩ (সীতাকুন্ড), ধারা ৪৬৮/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড মামলা করিলে আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্ত দিলে চলতি বছরের ২৯জুন ২০২৩ইং তারিখে পিবিআই জাল দলিল সৃজন এর সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে বিজ্ঞ আদালত শাহ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরবর্তীতে অসুস্থ্যতা ও বয়স বিবেচনায় জামিনে মুক্তি পায় শাহ আলম। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শাহ আলম পূর্বের চেয়ে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হইয়া প্রতিনিয়ত আমার ও আমার এতিম সন্তানদের উপর মানসিক নির্যাতন ও মিথ্যে মামলা দায়ের করিতে থাকে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মারফত খবর পাঠায় “অতিদ্রæত মামলা আপোষ কর অন্যথায় তোকে ও তোর সম্পূর্ণ পরিবারকে জানে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো” । এমন ঘটনায় আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চলতি বছরের ২১/১০/২০২৩ইং তারিখে সীতাকুন্ড থানায় একখানা অভিযোগ দায়ের করিয়াছি।
চিহ্নিত এই অপরাধীর কবল থেকে মুক্তি পেতে জাতির বিবেক সাংবাদিক, আইন শৃংখলা বাহিনী, ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি- আমার ও আমার এতিম শিশুদের পাশে দাড়ান।