• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন

বড়পিলাকে কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে, নাকাল এলাকাবাসী

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩

গুইমারা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি::
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বড়পিলাকের ৪নং এলাকার কাঁচা সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এলাকাটি কৃষি নির্ভর। এলাকার মানুষের কৃষিপণ্য এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তা বর্ষাকালে খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যাপারে নজর নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের। দুর্ভোগ জনসাধারণের।

সরেজমিনে দেখা যায়, জনসাধারণের চলাচলের জন্য গ্রামীণ এ রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৪ নং এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, শিশু-বৃদ্ধসহ সকলে। সীমাহীন দুর্ভোগে নাকাল এলাকাবাসী। এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় মারাত্মক কাদার সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি খালি পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায় হাজার গুণ।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম জানান, অবহেলিত কর্দমাক্ত রাস্তায় সামন্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা ও বড়-বড় গর্ত হয়। আর এ এসব গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। তখন যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন গ্রামের হাজারো মানুষ।

স্থানীয় মাহবুব আলী বলেন, আমাদের এ পাড়া থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে ও মাদ্রাসায় যায়। বর্ষাকালে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। অনেকসময় গায়ের জামা কাপড় কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে যায়। এখানে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে দিলে জনভোগান্তি কমবে।

স্থানীয় কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, কর্দমাক্ত রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিনই ছোট-ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। অতিদ্রুত এ রাস্তা সংস্করণ না করলে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউএনও, এমপি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ