সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের মা ও শিশু সুস্বাস্থ্য ক্লিনিকের রাস্তা এবং শাহআলমবাড়ীর রাস্তার বেহাল দশা। উল্লেখিত ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর প্রথমটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে শুরু হয় যাহা মা ও শিশু সুস্বাস্থ্য ক্লিনিকের উত্তর পার্শ্ব দিয়ে পশ্চিমে চলে যায়। অপরটি ১৮ নং ওয়ার্ডের ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম দিকে চলে যায় যাহা শাহআলমবাড়ী রোড বলে পরিচিত।
যদিও ইতোমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের ১৬ ও ১৮ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তাগুলো আরসিসি ঢালাই করা পাকা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু রাস্তার কাজ শুরু না হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতেই চলছে জনজীবন। ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার রাস্তাগুলো তথ্য সংগ্রহে দেখা যায়, রাস্তাগুলো পানিবন্দি এবং চলাচলের অযোগ্য। রাস্তাগুলোতে ছোট ছোট গর্ত ও খানাখন্দ থাকার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায় এবং কাঁদাযুক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। এতে জনসাধারণের পাশাপাশি রিক্সা সহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলেও বাধাগ্রস্ত হয়। রাস্তাগুলোর পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই সিটি কর্পোরেশনের কোন পরিকল্পনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।রাস্তাগুলোর সাথে বিদ্যমান দুইটি বিদ্যালয় ও তিনটি মাদ্রাসা। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ বৃষ্টি হলেই পরেন বিপাকে। খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত রাস্তায় চলাচলের যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বারবৈকা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোশারফ হোসেন জানান, যদিও আমাদের আশেপাশের অনেক রাস্তাই আরসিসি ঢালাই করে পাকা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই রাস্তাটি এখনো কাঁচা। বৃষ্টি হলে আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদ মন্ডল জানান, শাহআলমবাড়ীর রাস্তার ড্রেনেজের কাজ চলমান। ১৮ নং ওয়ার্ডের সচিব শ্যামল জানান, কলাবাগান থেকে শাহআলমবাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির ১৬ নং ওয়ার্ডের অংশের কাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদার ড্রেনেজের কাজ করছে। এ রাস্তাগুলোর টেন্ডার এখনও হয়নি যার ফলে আমরা কাজ শুরু করতে পারিনি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সাল থেকে উক্ত সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। উক্ত সিটি কর্পোরেশনটি বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনের সবার পর হলেও আয়তনের দিক থেকে ইহা সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন প্রায় ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার। ৫৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই সিটি কর্পোরেশনে দেশের প্রায় ৭৫% গার্মেন্টস শিল্প অবস্থিত। সিটি কর্পোরেশনের জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। জনগনের দাবী, বৃহত্তম এই সিটি কর্পোরেশনের জনগণ যেন তাদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়।