• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ন

সিরাজগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাজিপুর জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিঃ খায়ের ও গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ কালামের ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

মোঃ আজিজুল ইসলাম,

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কাজিপুর জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ আবুল কালামের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে যত্রতত্র বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ভুক্তভোগীরা এ সকল অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ভূয়া এসএসসি সনদ দিয়ে গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ হিসেবে ওয়্যারিং কাজের অনুমতি পায় উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেনের পুত্র আবুল কালাম। অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই কাজিপুর জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ আবুল কালামের সমন্বয়ে গঠিত সক্রিয় সিন্ডিকেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে যত্রতত্র ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিশেষ করে সেচ প্রকল্পগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে আসছে। এতে এ অঞ্চলের কয়েক’শ বৈধ সেচ প্রকল্পধারীরা চরম বিপাকে পড়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি অফিসের অনুমোদন ছাড়াই এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করে আসছে।

ভুক্তভোগী সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের বাসিন্দা সোবহানের পুত্র শাহিন মিয়া জানান, সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের বাসিন্দা মৃত শুকুর আলীর পুত্র হারান মিয়া সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কাজিপুর জোনাল অফিস থেকে একটি সেচ সংযোগ গ্রহণ করেন যার হিসাব নং (৩০৫-৮০১০)। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’র নিয়ননীতি উপেক্ষা করে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ আবুল কালামের মাধ্যমে প্রায় ৭৫০” ফিট অতিরিক্ত তার জোড়া দিয়ে সেচ সংযোগটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের রুপেরবেড় গ্রামের সেচ প্রকল্পের গ্রাহক আজিজুর রহমান জানান, চলতি বছরের জুলাইয়ে পাশ্ববর্তী মদনাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মোক্তাল তালুকদারের পুত্র চাঁন মিয়া সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় একটি সেচ সংযোগ নেয়। সংযোগ নেওয়ার ৫/৬ দিন পরেই ভূয়া গ্রাম্য বিদ্যুৎ বিদ আবুল কালামের সহযোগিতায় সংযোগটি পূর্বের স্থান থেকে প্রায় ৪৫০”ফিট বৈদ্যুতিক তার জোড়া দিয়ে অন্যত্র স্থানান্তর করেছে।
অভিযুক্ত গ্রাম বিদ্যুৎ বিদ আবুল কালাম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধ জানালেও কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

অভিযুক্ত সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কাজিপুর জোনাল অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের বর্তমান কথা প্রতিবেদককে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে এই মূহুর্তে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার অখীল কুমার সাহা জানান, এ বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ