• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন

লামা উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

উপজেলা চোরাচালান প্রতিরোধ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ,নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধসহ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগন আইন শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক তুলো ধরেন। শুরুতে লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, তার ইউনিয়নে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, তার ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের থেকে অযাচিত কর আদায় করা হচ্ছে। সভায় বলা হয়, গজালিয়ার কৃষক থেকে বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন কর্তৃক অনিয়মতান্ত্রিকভাবে টোল নেয়া হয়। এতে কৃষকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সরই ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেখানে বহিরাগতরা ভূমি দস্যুতা করছে। এসব ভূমি দস্যুরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পুন:র্নিমানে বাধা প্রদান করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। ফাসিঁয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চৌধুরী বলেন, সেখানে খুন, ধর্ষন, ইয়াবা কারবার ও অবৈধভাবে খালছড়া থেকে বালু উত্তোলন বৃদ্ধি পেয়েছে। আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সেখানে ভূমি বিরোধ, গরুচুরি ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির পর এনজিও সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে যে সহযোগিতা করে যাচ্ছে, তা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা বিভ্রান্তের শিকার হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। এনজিওদের সমন্বয় হীনতা নিরসন প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সভায় লামা থানার পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিগত মাসের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ওসির প্রতিনিধি। সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বক্তব্যের রেস ধরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, নদীর পাশের বসতিগুলোর ক্ষয় ক্ষতি হওয়ায়, মেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নির্নয় করা হয়েছিলো। সাম্প্রতিক কয়েকটি খুনসহ সামাজিক অপরাধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পর্কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ব্যপারে সকল ধর্মীয় গুরুদের মাধ্যমে প্রচার জোরদার করা দরকার। বহিরাগত লোকদের ভূমি দস্যুতা নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে স্থানীয়রাও দায় এড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, ভূমি জরিপ হয়েগেলে সমস্যা সমাধান হবে, দেশের বিভিন্নস্থানে ডিজিটাল জরিপ শুরু হয়েগেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার ভূমি এদিকে নজর দিবেন। পাহাড়কাটা, বালু উত্তোলন বন্ধে মোবাইল কোর্ট চালু রাখার কথা বলেন। রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে ভোটার, জন্ম নিবন্ধন ও আশ্রয় প্রশ্রয়দানের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকতে হবে। দ্বিতীয় অধিবেশনে মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় সরকারের তৃণমুলে উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র উপস্থাপন করা হয়। সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানরা অগ্রগতি ও পরিকল্পনা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ