আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাম পুলিশ বা চৌকিদারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রাম ও মহল্লা গোটাই চৌকিদারদের নখদর্পনে। তারা জানেন সবার হাঁড়ির খবর। আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে তাদের মোক্ষম ভূমিকা কাজে লাগানোর লক্ষে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম শেখ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সাথে মিলিত হন। উপজেলার সাত ইউনিয়ন ৬৩ টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় বসবাসরত সকল মানুষের চেহারা অবয়ব প্রত্যক্ষকারী এই তৃনমুল বাহিনীকে কাজে লাগালে সমাজে অপরাধ কমে আসবে। ওয়ারেন্টের আসামীসহ অপরাধীকে ধরতে গ্রাম চৌকিদারের সহযোগিতা পুলিশের অভিযানগুলোকে সফল করতে পারে। গ্রাম পুলিশকে কাজে লাগিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ কিংবা মাদক কারবারিদের ধরা সহজ হবে। পার্ত্য অন্যান্য উপজেলার চেয়ে আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে লামা উপজেলার ঐতিহ্যগতভাবে দীর্ঘলালিত সুনাম রয়েছে। বিক্ষিপ্ত দু’একটি ঘটনায় মাঝে মধ্যে এই সুনামে চীর ধরে। পুলিশি এক্টিভিটি যদি এধরনের বাহিনী, গ্রাম সর্দার, কারবারি, জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সাথে সংশ্লেষ থাকে, তবে সমাজ পরিমন্ডলে অপরাধ কমে আসবে। সম্ভব লামা থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ এমনটা করতে এই আয়োজন। “চৌকিদার ছিলো গ্রামাঞ্চলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গ্রাম পঞ্চায়েতের নিযুক্ত কর্মচারী। চৌকিদাররা এক বা কয়েকটি গ্রামের পাহারার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতো। ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক ১৮৯২ সালের আইন ১ এর মাধ্যমে চৌকিদারি আইন সংশোধন ও ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিকল্পিত গ্রাম সরকার পদ্ধতির মাধ্যমে এটি বিলুপ্ত করা হয়। বর্তমানে চৌকিদার গ্রাম পুলিশ বাহিনী হিসাবে পরিচিত”। পার্বত্য লামার আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশ, যৌথবাহিনীসহ সকল প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে; এমনটা প্রত্যাশা লামাবাসীর।