লামা বনবিভাগ সংরক্ষিত রিজার্ভ ভূমিতে অবৈধ দখলদার মিজান মেম্বারকে উচ্ছেদ করলেন লামা বনবিভাগ। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় অভিযান চালিয়ে বনবিভাগ বমু রিজার্ভের প্রায় ৬ একর জমি অবৈধ দখলদারের কবল থেকে উদ্ধার করে সেখানে বিভিন্ন জাতের চারা রোপন করে দেয়। একই সময় উদ্ধারকৃত ভুমিতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষেধ করেন। বনবিভাগ সূত্রে জানাযায়, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান সংরক্ষিত সরকারি রিজার্ভের ৬ একর জমি দুবাই প্রবাসী নুর হোছাইন নামের এক ব্যক্তি থেকে ৩০ লাখ টাকা মুল্যে কক্সবাজার নোটারী পাবলিক দলিলমূলে ক্রয় করেন। মিজান মেম্বার ফরেস্টের সংরক্ষিত জমি ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবি করে, বর্গা চাষির মাধ্যমে সেখানে নিষিদ্ধ তামাকপাতাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল চাষ করাতেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বনবিভাগ অভিযান করেন। অনুসন্ধানে জানাযায়, পানিশ্যাবিল নারকাটাঝিরিমুখে সরকারি রিজার্ভ ভূমির টিলায় বসবাস করেন ছৈয়দ আলম নামের এক প্রজা। সে সামাজিক বনায়নের অংশিদার হিসেবে বসবাস ও বনের পরিচর্চা দেখা শুনা করে। ফরেষ্ট ভূমিতে অংশিদার (ভূমহীন) ভিলেজার হিসেবে প্রায় ৬ একর জমি দরিদ্র প্রজা ছৈয়দ আলম ভোগ দখল করতেন। কয়েক বছর আগে ছৈয়দ আলম মেরুদণ্ড ক্ষতজনিত রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দুবাই প্রবাসী নুর হোছেন নামের একজনকে বন্দক দেয়। এর পর শর্তানুযায়ী সেই বন্ধকি জমি ছাড়াতে গেলে নুর হোছেন জমি ফেরৎ না দিয়ে, উক্ত জমি তার শ্যালক ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমানের কাছে নোটারী পাবলিক দলিল করে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি লামা বনবিভাগের নজরে আসলে সাথে সাথে অভিযানে করে বনের জায়গা উদ্ধার করেন। লামা বনবিভাগের স্পেশাল টিমসহ অভিযানে নেতৃত্ব দেন এসিএএফ মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাথে সদর রেঞ্জ অফিসারসহ অন্যান্য ফরেস্টারগন। এদিকে বন আইন লঙ্গন করে সংরক্ষিত বনের জমি ক্রয় বিক্রয়ের দায়ে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান ও তার দুলা ভাই দুবাই প্রবাসী নুর হোছেনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন কিনা লামা বনবিভাগ; এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।