ডেস্ক:
গ্রিসে দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রিসের লারিসার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। আহতদের উদ্ধারে এবং আগুন নেভাতে সেখানে দ্রুত ছুটে যান জরুরি পরিষেবা সংস্থার সদস্যরা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিত দু’টি ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী, অপরটি মালবাহী ট্রেন ছিল।গ্রিসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া বগিগুলো থেকে আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।আগুনের শিখা নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১৭টি গাড়ি উপস্থিত হয়।কী কারণে দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ওই ট্রেন দু’টি থেসালোনিকি এবং লারিসার মধ্যে চলাচল করছিল।ট্রেনের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া এক যাত্রী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বগির ভেতর মানুষ আতঙ্কিত হয়ে যায়। মানুষ চিৎকার চেঁচামেচি করছিল।’দুর্ঘটনাস্থল লারিসার গভর্নর কন্সতানতিনোস আগরোসতোস স্কাই টিভিকে বলেছেন, ‘সংঘর্ষ অনেক শক্তিশালী ছিল।’ তিনি জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী ট্রেনটির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম দুটি বগি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।গভর্নর আগরোসতোস আরও জানিয়েছেন, ট্রেনের ভেতর থেকে প্রায় ২৫০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।স্কাই নিউজের ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের দুটি বগি বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং সেখান থেকে ধোয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে, অন্য বগিগুলোর জানালা ভেঙে গেছে। সংঘর্ষের মাত্রা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, ট্রেনের ধ্বংসাবশেষ উড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে। বিধ্বস্ত বগির ভেতর কেউ আটকে আছেন কিনা সেটি দেখতে উদ্ধারকারীদের টর্চলাইট নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।ফায়ার ব্রিগেডের মুখপাত্র ভাসিলিস ভারথাকোগিয়ানিস জানিয়েছেন, ‘দুই ট্রেনের মধ্যে যেভাবে সংঘর্ষ হয়েছে, বর্তমানে খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।’স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ৩৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
You cannot copy content of this page