স্টাফ রিপোর্টার,রংপুর অফিস  
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি(১০ টাকা কেজি) চাউলের কার্ড অনলাইন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সার্ভিস চার্জ দেয়ার পরও উপজেলার পায়রাবন্দ  ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে জনপ্রতি ২০ টাকা হিসেবে ১৩৩৮ জনের কাছে সর্বমোট ছাব্বিশ হাজার সাতশত ষাট টাকা আদায় করে বেআাইনি ভাবে।এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৈনিক মানবকন্ঠের মিঠাপুকুর প্রতিনিধি ও দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার খন্দকার রাকিবুল ইসলাম গত ২৭ আগস্ট ২০২২  ইউপি ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে উদ্যোক্তার দেখা না পেয়ে সাক্ষাৎকারের জন্য ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ রেদওয়ানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আপনি আমাকে প্রশ্ন করার কে ? এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালি   গালাজ করে।পরবর্তীতে একই দিন বৈরাগীগঞ্জের চুহড় উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাংবাদিককে দেখিতে পাইয়া   মিথ্যে চাঁদাবাজি মামলায় ফাসাইয়া দেয়া ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে।
উল্লেখ্য মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ইউপিতে ‘চালের কার্ড অনলাইন করতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি থাকা’ এ শিরোনামে দৈনিক বর্তমান কথা ও দৈনিক আজকের জনবাণি পত্রিকায় ২৮ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক খন্দকার রাকিবুল ইসলাম জানান,পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আমাকে লাঞ্ছিত করা ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করা হয়েছে।আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।অথচ বেআইনি কাজ করার পরও এখনো স্বপদে বহাল আছেন ইউপি ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা কোন এক অদৃশ্য শক্তির প্রশ্রয়ে।এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি তাকে নামমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন।বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এ বিষয়ে পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমি তো এই ব্যাপারটি জানিনা। আমি গতকাল জানতে পেরেছি।তবে এ ব্যাপারে আমি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাকে শোকজ করেছি।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, বীট পুলিশকে এই বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।