নবম পে-স্কেলসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহসাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক গোলাম রসুল নয়ন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক খাদিজা খানম, মহানগর আহবায়ক, ছারোয়ার হোসেন তালুকদার, সদস্য সচিব মাহবুবুল হক তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মৌসুমি প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২১তম, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ২য়। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি।
আমাদের গড় আয় বেড়েছে কিন্তু আমরা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সেবা খাতের ব্যয়বৃদ্ধির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ও সেবামূল্যও আকাশচুম্বি রূপ ধারণ করেছে। অথচ নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের আয় বাড়েনি মোটেও। তাই চলমান জীবন বাস্তবতার নিরিখে প্রজাতন্ত্রের এসব নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের কতিপয় সমস্যাদি নিরসনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। যে সকল কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান, বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্যমূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে।
You cannot copy content of this page