মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভারি বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন স্কুলছাত্রী।
এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিপাত ও এর জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।
দেশটিতে ভ্রমণ ও চলাচলও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারি বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যা উপসাগরীয় অঞ্চলের কিছু অংশকে কার্যত ভাসিয়ে দিয়েছে।
ওমানে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ভ্রমণ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
আলজাজিরা বলছে, ওমানে মঙ্গলবার ঘোষিত মৃতের সংখ্যার মধ্যে অন্তত ৯ জন স্কুলছাত্রী এবং তাদের ড্রাইভার রয়েছেন। মূলত তাদের বহনকারী গাড়িটি গত রোববার সামাদ আ’শানে বন্যার পানিতে ভেসে যায়।
দেশটির ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল এখনো নিখোঁজ দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে।
এদিকে বেশ কয়েকটি প্রদেশের খারাপ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রশাসনিক কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ ছাড়া একই কারণে দেশটির অন্যান্য অংশে দূরে থেকেই কাজের সুযোগও এদিন দেওয়া হয়েছিল।
এমনকি বাসিন্দাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল, যদি তারা মনে করে যে, তারা বিপদে পড়েছে বা কর্তৃপক্ষ তা করতে নির্দেশ দেয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকা থেকে নাগরিকদের বের করে আনার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আশ শারকিয়াহ উত্তরপ্রদেশে পুলিশ ও সৈন্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্যা
এদিকে মঙ্গলবার প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে দেশটির প্রধান মহাসড়কগুলোর কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে এবং দুবাইজুড়ে সড়কপথে বহু যানবাহন পরিত্যক্ত করেছেন ব্যবহারকারীরা।
মূলত আগের রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়।
ঝড়ের আগে আরব আমিরাতজুড়ে স্কুলগুলো মূলত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং সরকারি কর্মীরা কর্মস্থলে উপস্থিত না হয়ে দূর থেকেই তাদের কাজ করেন।
যদিও অনেক কর্মী বাড়িতেই থেকে যান, আবার কেউ কেউ বাইরে বেরিয়েছিলেন, আর এতে করে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকেই রাস্তায় জমাট বাঁধা পানিতে তাদের যানবাহন নিয়ে আটকে পড়েন।
পরে আমিরাত কর্তৃপক্ষ পানি সরানোর জন্য রাস্তায় এবং হাইওয়েতে ট্যাঙ্কার ট্রাক পাঠায়।
প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, দুবাইতে কেবল মঙ্গলবার সকালেই ৩০ মিমি এরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বাহরাইন, কাতার ও সৌদি আরবেও বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।