ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর বসছে আগামী ২১ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলা উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) তৃতীয়বারের মতো এ মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে সরকার। গতকাল সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মেলা উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ২১ জানুয়ারি ২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন মেলার উদ্বোধন করবেন। বিবিসিএফইসিতে মাসব্যাপী চলবে এ মেলা। ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, স্টল বরাদ্দ, প্রধান ফটক, টিকিটিং বুথ নির্মাণসহ সব খাতের টেন্ডার বা ইজারা প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। গত বছরের তুলনায় এবার স্টলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের মধ্যে সব স্টল বরাদ্দ শেষ হবে। আর ইজারাসংক্রান্ত অন্য সব প্রক্রিয়াও চলতি সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এবারের বাণিজ্যমেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে এতে। গত বছর মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নের ফ্লোরের নূন্যতম ভাড়া ছিল ২০ লাখ টাকা।
আসন্ন মেলায় তা হয়েছে ২২ লাখ টাকা। একইভাবে নূন্যতম তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে সাধারণ স্টল চার লাখ টাকা ও সংরক্ষিত স্টল চার লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর ৪৭ শতাংশ বাড়িয়ে সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়নের নূন্যতম ভাড়া ১১ লাখ টাকা করা হয়েছে। প্রায় একই হারে স্টল-প্যাভিলিয়নের জামানত বাড়ানো হয়েছে। এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে ও সামনের ফাঁকা জায়গা মিলে স্টল থাকবে। এতে করে দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। দেশি-প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের পসরা নিয়ে হাজির হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের মেলায় প্রবেশের টিকিট মূল্য ৫০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ২৫ টাকা করা হয়েছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হয়েছে শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা হয়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। ২০২৩ সালে দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন ছিল। মেলায় সিঙ্গাপুর, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১০টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করেন।