এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
ডেমরা থানার আমুলিয়া মডেল টাউনে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন ২ জন গ্রেফতার করে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগে অন্তগত ডেমরা থানা ও ডেমরা কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি যৌথ অভিযান চালিয়ে আমুলিয়া মডেল টাউনে দুই খুনের রহস্য উদঘাটন করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ডেমরা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ নাঈম ও মোঃ জাহিদ হাসান। তাদের হেফাজত থেকে ছিনতাইকৃত দুটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।গতকাল রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার ।
তিনি বলেন, ডেমরা থানার আমুলিয়া মডেল টাউনে গত ১৩ মার্চ একটি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ ও ৩ এপ্রিল আরেকটি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ডেমরা থানায় দুটি পৃথক হত্যা মামলা রুজু করা হয়। ৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে রুজুকৃত মামলাটির তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। গত ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার আরো বলেন, গত ২ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টার পর নয়ন, নাঈম, জাহিদ, রায়হান রিকশা ছিনতাই করার জন্য একটি অটোরিকশা নিয়ে যাত্রাবাড়ীতে আসে। যাত্রাবাড়ী থানার পেছনে লেগুনা স্ট্যান্ডে একটি অটোরিকশাকে টার্গেট করে রিকশাটি আমুলিয়া থেকে গাড়ির পার্টস আনার জন্য দুইশত টাকায় আসা-যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। রিকশায় নয়ন ও নাঈম উঠে। জাহিদ ও রায়হান পেছনে অন্য একটি অটোরিকশা দিয়ে তাহাদেরকে ফলো করে। অটোরিকশাটি ডেমরা থানার আমুলিয়া মডেল টাউনে নির্জন জায়গায় যাওয়ার পর নয়ন ও নাঈম রিকশা থেকে নামে। নয়ন রিকশাওয়ালাকে পার্টসের বস্তা ধরতে অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যায় ও নাঈম রিকশার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে এবং একটু পিছনে জাহিদ ও রায়হান অবস্থান করে। একপর্যায়ে নয়ন রিকশা চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে রিকশা দিতে বলে, না হলে হত্যার হুমকি দেয়। রিকশা চালক বলে, জান গেলেও রিকশা দিবো না। তখন নয়ন তার পাশে থাকা ইট দিয়ে রিকশা চালকের মুখে, চোখে ও মাথায় আঘাত করে এবং গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অটোরিকশাটি নিয়ে নাঈম ও জাহিদ চলে যায় এবং নয়ন অন্যদিকে চলে যায়। নাঈম ও জাহিদ মালা মার্কেটে সেলিমের গ্যারেজে গিয়ে রিকশাটি দশ হাজার টাকায় বিক্রি করে। নাঈম ও জাহিদ দুই হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরের দিন নয়ন আট হাজার টাকা নেয়।উপ-পুলিশ কমিশনার আরো জানায় যে, গত এক মাস আগে একই জায়গায় একই পদ্ধতিতে একই স্থানে তারা আরেক জন রিকশা চালককে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে রিকশা নিয়ে চলে যায়। গ্রেফতারকৃতরা দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।