এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
অদ্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং ঢাকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্রাব) মিলনায়তনে আরিফুর রহমান টুটুল নামে এক নিরীহ ভুক্তভোগীর ১২ লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতি করে (১,২০,০০,০০০) এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা বানিয়ে অবৈধভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে চেক ডিজনার করে মামলা দিয়েছেন চেক জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরিফুর রহমান টুটুল এর গ্রামের বাড়ি চারিগাঁও,সেনবাগ থানা,জেলা-নোয়াখালী। তিনি গত ২০১৬ সালে আপনজন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিউটিকুইন কর্পোরেশনের প্রোপাইটর জিলানি খন্দকার এর ডিস্ট্রিবিউটার হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহিত ব্যবসা চলমান অবস্থায় মোঃ আবদুল আলিম,নোয়াখালী আপনজন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর নোয়াখালী জেলার সদর থানার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ডিলার হওয়ার আবেদন করেন তৎপ্রেক্ষিতে কোম্পানীর নিয়ম মানিয়া নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের জন্য কোম্পানীর নিকট আবেদন করিলে কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানীর একাউন্টে টাকা জমা হইলে কোম্পানী আমাকে আদেশ প্রদান করিলে আমি আমার অফিস হইতে উক্ত টাকার ভোগ্য পন্য সরবরাহ করি।
পরভর্তিতে আবদুল আলিম তাঁহার সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে তাকে প্ররোচিত করে আব্দুল আলিম নিজেই ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মাইজদী কোর্ট শাখায় টুটুলের নামে একটি একাউন্ট খুলিয়ে নেয়।যাহার একাউন্ট নং- ২০৫০২২৫০১০০২৪৭৭১৬ এবং তথায় ১২,০০,০০০/- (বার লক্ষ) টাকার পণ্যের জন্য বিভিন্ন দাগে ব্যাংকের মাধ্যমে ভেঙে ভেঙে প্রদান করে। পণ্য সরবরাহের অনুরোধ করিয়া কোম্পানীর আদেশ প্রাপ্তির বিলম্বের তাহার নিকট হইতে সুচতুর কৌশলে প্রতারণা করিয়া ২০১৭ ইং সনের তারিখ স্বাক্ষর বিহীন ১২,০০,০০০/- (বার লক্ষ) টাকার একটি চেক নিয়া যায়।পরবর্তীতে কোম্পানীর আদেশে ১২,০০,০০০/- (বার লক্ষ) টাকার পন্য মোঃ আবদুল আলিমকে সরবরাহ করেন ভুক্তভোগি টুটুল । টাকা অনুযায়ী আব্দুল আলীম কে টুটুল পন্য পাঠিয়ে দেন এবাবে তাদের ব্যবসা করে আসছিলো। পরভর্তি তে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী টুটুল তার জামানতের চেক ফেরত চাইলে প্রতারক আব্দুল আলীম উক্ত চেক টি দুবাই তে তার মেয়ের বাসায় ভুলে রেখে আসছে মর্মে জানায়।
কিন্তু ২০২০ইং সালে মোঃ আবদুল আলিমের প্রতারণা ও তাহার সহিত সম্পৃক্ত জালিয়াত চক্রের সদস্যগণের মাধ্যমে টুটুল এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে পাঠান।
পরভর্তিতে ভুক্তভোগী আইনকে সম্মান দেখিয়ে আদালতে গিয়ে সম্পর্কে জানিতে পারিয়া বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। ভুক্তভোগি জানান, আবদুল আলিমের দলীয় প্রতারক চক্র আদালতের চার্জ গঠনের পূর্বাপর তারিখে উপস্থিত থাকিলেও তাহারা আমাকে অনুসরন করিয়া আদালতে অনুপস্থিত থাকিয়া কৌশলে আমি গত ২০ অক্টোবর ২২ ইং আমার বন্ধুর অনুরোধে ও আব্দুল আলিমের আমন্ত্রনে ও তার সকল বহন খরচে ওমরা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে যাই সৌদি আরব যাই । সেই সময়ে প্রতারক আবদুল আলিম স্বাক্ষ্য প্রদান করিয়া তাহার অনুপস্থিতিতে মামলাটি রায়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন যাহা টুটুল কিছুই জানতো না ।পরবর্তীতে টুটুল জানতে পারে প্রতারক আব্দুল আলিমের সাজানো প্রতারনায় তিনি প্রতারিত হয়েছে। পরভর্তিতে গত ৩ জানুয়ারি ২০২৩ ইং স্বেচ্ছা আদালতে হাজির হইয়া জামিন নেন ভুক্তভোগি আরিফুর রহমান টুটুল ।
কোর্টে গিয়ে মূল চেক দেখে তিনি বুঝত পারেন তার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে ২০১৭ এর স্থলে জালিয়াতি করিয়া ২০১৯ইং তারিখ দেখাইয়া ১২,০০,০০০/- (বার লক্ষ) এর এর স্থলে ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) এবং জালিয়াতি করিয়া ছাপযুক্ত অন্য কাগজ হইতে আমার অপর একটি স্বাক্ষর স্কেন করিয়া চেকে সন্নিবেশ করে।
পরবর্তীতে ধার্য্য করা রায়ের তালিকা হইতে মামলা উত্তোলন ও মামলার চেক খানি পরীক্ষকের নিকট ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্যে প্রেরণের আবেদন করিলে বাদী আবদুল আলিম কৌশলে তাহার প্রতারক চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১,২০,০০,০০০/- (এক কোটি বিশ লক্ষ) টাকা এবং ১ বছরের জেলের রায় হাসিল করে।
যাঁহার সুদিষ্টি কোনো প্রমান ও ডকুমেন্টস নেই আব্দুল আলিমের কাছে যেই লেনদেন এর কথা বলা হয়েছে সেই লেনদেন হওয়ার মতো ব্যক্তি ও নয় আব্দুল আলীম এমনাটাই সংবাদ সম্মেলনে জানাইয়েছেন ভুক্তভোগী আরিফুর রহমান টুটুল।
তিনি জানান প্রতারনা করাই আব্দুল আলীমের মুল পেশা তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রতারনা করে,তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নোয়াখালীর অনেক নিরীহ মানুষ,যারা অনেকে ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না ।প্রতারনা করা চক্রের সদস্যগন আপনজন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর শপিংমল করার উদ্দেশ্যে মোঃ আলাউদ্দিন ভূইয়া এর নিকট রক্ষিত আমার স্বাক্ষর সম্বলিত একখানা ফাইল নিয়া যায়।
তৎবিষয়ে পরবর্তীতে আলাউদ্দিন সাহেব আমাকে জানায় আমি নালিশী চেকে আমার স্বাক্ষরের প্রদত্ত ছাপ দেখিয়া জালিয়াতি সম্পর্কে বুঝিতে পারি। কিন্তু জালিয়াতি চক্রের প্রভাবে ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইয়াছি। আমার নিকট আইনের বিধান মতে আপিল করার ৫০% টাকা নাই। ইহা ছাড়াও জালিয়াত চক্রের সদস্যগণ প্রতিনিয়তই আমাকে তাহাদের সহিত সমঝোতার হুমকি দিচ্ছে অসহায় অবস্থায় আমি আপনাদের স্মরণাপন্ন হইলাম। আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে আমার ব্যংক Statement ও কোম্পানী বরাবরে প্রেরিত আমার টাকার রশিদ আছে। মোঃ আবদুল আলিমের সহিত আমার কোনরুপ চুক্তি বা সরাসরি লেনদেন নাই। আমি প্রতারক ও জালিয়াত চক্র হইতে নিস্তার ও আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আপনাদের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি।সর্বপরি ভুক্তভোগী আরিফুর রহমান টুটুল বলেন, আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে আমার মতো একজন অসহায় ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পাবে বলে আমি আশা করছি।এই বিষয়ে আব্দুল আলীমের মুঠো ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।