বান্দরবান আর্যগুহা ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক পূজনীয় ড. এফ. দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তে) এঁর রহস্যজনক মৃত্যুর তথ্য উদঘাটনের দাবীতে লামায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। ১৫ জুলাই ১০টায় লামা উপজেলা সম্মুখ সড়কে শান্তিপুর্ন মানববন্ধনে লামা উপজেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্যায়াং পরিচালনা পর্ষদের শতাধিক সেবক অংশ নেন। বক্তরা বলেন, ড. দীপঙ্কর মহাথেরো প্রকাশ ধুতাঙ্গ ভান্তে হত্যার শিকার। ঘাতকরা
এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করে ডক্টর দীপঙ্কর মহাথেরোর ধর্ম দেশনাকে কুলসিত করার জন্য কুৎসিতভাবে উপস্থাপন করছে। ড. দীপঙ্কর মহাথেরো প্রকাশ ধুতাঙ্গ ভান্তে শিক্ষা,জ্ঞানে-গুনে, ধর্ম, মানব প্রেম, দেশ প্রেম নিয়ে বৌদ্ধের ‘অহিংস পরম ধর্ম’ প্রচারে নিবেদিত অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলো। তাঁর মধ্যেছিল মনুষ্যত্ব বিকাশের উদ্দীপ্ত চেতনা। যিঁনি মানুষকে সততার সাথে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতেন তিঁনি কোনোভাবে আত্মঘাতি হতে পারেন না। সুতরাং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে একটি আত্মহত্যার নাটক মঞ্চস্থ করছে মহল বিশেষ। লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়ার সমন্বয়ে মানববন্ধনের প্রতি সকল মানুষ সংহতি প্রকাশ করেছেন। বক্তব্য দেন লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইছিং মারমা, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মোঃকামরুজ্জামান, রতন বড়ুয়া, আনন্দ বড়ুয়া, উজ্জল বড়ুয়া, চিত্তরঞ্জন বড়ুয়া প্রমূখ। বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে মানুষের উন্নয়ন, ধর্মীয় চেতনা বোধ, ব্যবসা বাণিজ্যে ও ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ যাদের দ্বারা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে, তারাই এই নরকীয় কান্ড ঘটিয়েছে। সরকারের গোয়েন্দা প্রশাসন এই বিষয়ে নজরদারিসহ ধুতাঙ্গ ভান্তের নিকট অতীতের কিছু কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে একটি ধারণা পাবেন। শনিবার বান্দরবানে (১৩ জুলাই) দুপুরে ড. দীপঙ্কর মহাথেরো প্রকাশ ধুতাঙ্গ ভান্তে(৫৩)’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালাঘাটা এলাকার গোদার পাড়ের আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বৌদ্ধ বিহারের ভিতরে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ ভান্তের নিথর দেহ উদ্ধার করে। ধুতাঙ্গ ভান্তে ওই বিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন। ভান্তের গলায় রশি দেয়া থাকলেও এই মৃত্যুটি ভক্তসহ বহু মানুষ রহস্যজনক মনে করছেন।