• শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাদক চোরা কারবারি টাকা ছিনতাই বাড়িঘর লুটপাট সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে সিলেট জেলা যুবদলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে গুইমারায় বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করবে অন্তর্বর্তীকালীন কার মেট্রোরেলের কার্ডসংকট: একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট দুই-এক মাসের মধ্যে ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা:নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা স্মৃতিসৌধে অসু্স্থ হয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সিএমএইচে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

টানা বৃষ্টিতে বান্দরবান জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪

বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। রোববার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলা শহরের কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে।

এদিকে সকালে বান্দরবান-রুমা সড়কে দলিয়ান পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় পাহাড়ের মাটি সরানোর পর দুপুর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা যায়, জেলা শহরের টাংকি পাহাড়, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ইসলামপুর, হাফেজঘোনা, বনরুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কয়েকশ মানুষের বসবাস। এছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টি হলেই এসব এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

২০২৩ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার কালাঘাটা, টংকাবতি, নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও থানচিতে ১০ জন নিহত হয়েছিলেন। গত মাসের ২৯ জুন নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি এলাকায় কৃষিকাজ করতে গিয়ে আবু বক্কর (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। পাহাড় ধসে গত পাঁচ বছরে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০ জনের।

পাহাড়ধসে প্রাণনাশের ঝুঁকি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়েও মাইকিং করা হচ্ছে।

বান্দরবানের পৌর মেয়র শামসুল ইসলাম জানান, পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রচারণা চালাতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পৌর এলাকায় ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ