আসামি মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) এর বিরুদ্ধে বিঃ সাঃ ০৪/২২, দুদক জিআর ৮৩/২০ ধারা-২৬ (২), দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪, রমনা জিআর শাখা অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিশন বিভাগ ডিএমপি, ঢাকার প্রসেস নং-৩৬০, তারিখ ২০/০২/২০২৪ খ্রিঃ বিশেষ জজ আদালত ১ ঢাকা যার পিজিআইডি নং-9MTPSNRA7 মূলে এই ওয়ারেন্টটি (W/A) বিধি মোতাবেক আরএমপি, রাজশাহীর অপরাধ শাখা হয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে যার প্রসেস নং-৬৭/২৪, তারিখ-১১/০৩/২০২৪ খ্রি. মূলে ১৩/০৩/২০২৪ তারিখে অত্র থানায় কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে অফিসার ইনচার্জ গ্রেফতারি পরোয়ানটি রিসিভ নং-১৯৯, তারিখ-১২/০৩/২৪ খ্রি. ও পার্ট-০১ এ রিসিভ করতঃ জিআর সাজা পরোয়ানা (W/A) রেজিস্টারে রিসিভ নং-২৯/২৪, তারিখ-১৩/০৩/২৪ খ্রি. মূলে রিসিভ করে তামিলের জন্য সুমন কুমার সাহা (আয়ু) নামে হাওলা করেন। সুমন কুমার সাহা বিধি মোতাবেক বর্ণিত আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য ততোধীক বার গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই।
তারই প্রেক্ষিতে গত ২৭/০৪/২০২৪ তরিখ অনুমান ১৫.০০ ঘটিকায় ডিউটি অফিসার কাটাখালী থানার নিকট আসামী মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) বিশেষ দায়রা জজ, বিশেষ দায়রা আদালত-১, ঢাকার স্বাক্ষরিত ও বিশেষ দায়রা আদালত- ০১, ঢাকা সিল মোহর সম্বলিত পরোয়ানা ফেরত (রিকল) মূলে বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কাটাখালী থানা সূত্রঃ বিশেষ দায়রা মামলা নং-০৪/২২ দুদক জিআর ৮৩/২০, ধারা-২৬ (২) দুদক আইন ২০০৪ আসামী মোঃ মোস্তফা হোসেন (৫০), পিতা-মোঃ মোসলেম মোল্লা, সাং-চক বেলঘরিয়া, সাবেক থানা-মতিহার, বর্তমান থানা-কাটাখালী, জেলা-রাজশাহী উপরোক্ত মামলায় আমার আদালতে আত্মসমর্পন করিয়া জামিনে মুক্ত পাইয়াছে। এমতাবস্থায় এই আসামী সংক্রান্ত (কেবল মাত্র উপরোক্ত মামলায়) সকল পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত দানের নির্দেশ দিতেছি। অত্র আদালতের সিল সহ নিজ স্বাক্ষরে আদায় তারিখ প্রদান করিলাম। যার উপরে সিরিয়াল নং-44611 শুনানীর তারিখ ২৪/০৪/২০২৪ ইং সহ বিশেষ দায়রা আদালত-১, ঢাকা ও বিশেষ দায়রা জজ বিশেষ দায়রা আদালত-১, ঢাকার সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত আছে, এমন একটি ভূয়া জামিন নামা পেস করেন (আসামি) । পরবর্তীতে বর্ণিত পরোয়ানা ফেরত (রিকল) এ বর্ণিত আসামীর নামে অত্র থানায় একটি সাজা পরোয়ানা মূলতবী থাকায় কাল বিলম্ব না করে পরোয়ানা ফেরত (রিকল) মূলে বর্ণিত ওয়ারেন্টটি কাটাখালী থানার স্মারক নং-১৭৩৬, তারিখ-২৯/০৪/২৪ খ্রি. মূলে ডিসি প্রসিকিউশন এর নিকট সরল বিশ্বাসে প্রেরণপূর্বক সাজা গ্রেফতারি পরোয়ানাটি নিষ্পত্তি করেন (আয়ু)।
ভূয়া জামিন নামা
কিছুদিন পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায় যে, বর্ণিত সাজা পরোয়ানাভুক্ত (W/A) আসামী মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) বিশেষ জজ, বিশেষ জজ আদালত-০১, ঢাকায় আদালতে আত্মসমর্পন করিলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে সোপর্দ করেন। প্রাপ্ত সংবাদটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করতঃ আসামী মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) এর বিরুদ্ধে আদালতের ইস্যুকৃত গ্রেফতারি সাজা পরোয়ানার (W/A) উপর প্রাপ্ত সিলে বেঞ্চ সহকারী, জনাব রাজিব দে বিশেষ জজ আদালত-১, ঢাকা যার মোবাইল নং-০১৮৪৭১৪৭৭৭৪ তে অফিসার ইনচার্জ নিজেই মোবাইল ফোনে কথা বলে বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এতে প্রতিয়মান হয় যে, উপরোক্ত ঘটনায় আসামী মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহযোগীতায় একই উদ্দেশ্যে সাধনকল্পে অপরের রুপ ধারনপূর্বক প্রতারনা ও অসাধুভাবে প্রবৃত্ত হয়ে আদালত বা সরকারী ক্ষমতায় প্রস্তুত বলিয়া গণ্য বিজ্ঞ আদালতের সীল মোহর তৈরী ও বিজ্ঞ আদালতের স্বাক্ষর জাল করতঃ জাল সনদ বা দলিল তৈরি করে প্রতারনার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও জাল দলিল’কে খাঁটি হিসাবে ব্যবহার করায় পেনাল কোড ৩৪/৪১৯/৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারার অপরাধ করেছে। বর্তমানে আসামী মোঃ মোস্তাক হোসেন (৫০) আদালতে আত্মসমর্পন করে জেল হাজতে আটক আছে।