• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কক্সবাজার সৈকতে হঠাৎ কেন দেখা দিল প্লাস্টিকের দানব বিজিসিফ গ্রিনলীফ অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ প্রাপ্ত হন অতিরিক্ত ডিআইজি টুরিস্ট পুলিশ জনাব আপেল মাহমুদ গতকাল জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ২৩ তম ইক্বরা আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন সিপিবির সংহতি সভায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধে শ্রমিকরা। খিলক্ষেত বাসীর অন্তরের চাওয়া শিশুপার্ক নির্মাণে বিএনপির নেতৃবৃন্দদের ভূমিকা প্রশংসনীয় আশুলিয়ায় ৫শ’ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে ‘ছোনাউঠা হাওলাদার সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ চট্রগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেনের ডিন ড. ফাতেমা মেরী সিডতামের ওব্যাট হেল্পার্স প্রজেক্ট পরিদর্শন রাজশাহীতে পদ্মা বেকারিতে ভুয়া বিএসটিআই লগো

আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায়ের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেয়া যাবে না

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেয়া যাবেনা বলে রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।

 

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করার সুযোগ পান। হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন।

 

আপিল বিভাগের রায়েও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এই আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন অথবা দণ্ডিত যদি আবেদন না করেন তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে সরকার। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যু দণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে।

 

রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত বিধান নেই। এজন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়।

 

তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০-১২ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান। রুল শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ ছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ