মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা
প্রচন্ড তাপদাহের কারণে অস্বস্তিতে থাকলেও মাঠেঘাটে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার বাসিন্দারা। একদিকে ৩৮° ডিগ্রি তাপমাত্রা আর অন্যদিকে তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে মাঠে কাজ করছে এ এলাকার কৃষাণীরা।
রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নস্থ ৮০ মিটার ব্রীজের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমিতে কিছু কৃষাণী ছাতা ও মাতলা মাথায় দিয়ে তাপদাহকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিব্বি কাজ করে যাচ্ছে। ফসল ঘরে তুলতে হবে, না হয় সংসার চালাতে পারবেনা এমন মন্তব্য করেন বিলকিস, করিমনসহ কয়েকজন কৃষাণী। রামনগর ছোয়ানী এলাকার বাসিন্দা জসিম বলেন- সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে আমার দেশের কৃষক তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে সরকারের প্রনোদনা আরও বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।
এদিকে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা রহমান বলেন, এই গরমে কৃষাণীদের পর্যায়ক্রমে বিশ্রাম নিয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। কারণ তীব্র গরমে শরীরের পানি বেড় হয়ে পানিশূন্যতা রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি এই তীব্র গরমে অনেকের শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত রোদে বিশ্রাম ব্যতীত ফসলি জমিতে কাজ করার কারণে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে হিটস্ট্রোক হয়ে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যে কোনো সময় অসুস্থ হতে পারে।