ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেস সড়কে কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে প্রতিনিয়ত যানবাহন থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদাবাজির ভিডিও ধারণ করতে গেলে মাইটিভির ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের এসআই তমাল অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
সরেজমিন দেখে যায়-ভাঙ্গা উপজেলা থেকে সূর্যনগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এক্সপ্রেস সড়কে দায়িত্ব পালন করেন শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ। প্রতিদিন বামনকান্দা, মালিগ্রাম, কলাতলা ও পুলিয়া এলাকার চারটি পয়েন্টে কাগজপত্র যাচাই করার নামে হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে পুলিশ সদস্যরা।
মাইটিভির সাংবাদিক সরোয়ার হোসেন বলেন, যানবাহনের কাগজপত্র দেখার নামে প্রতিদিন শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে চালকদের পুলিশ হয়রানি করে। এ ব্যাপারে কয়েকজন চালক থানায় অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি। বৃহস্পতিবার সড়কটিতে গিয়ে আমি ভিডিও ধারণ করি। তখন হাইওয়ে থানার এসআই তমাল ও তার সহযোগী সদস্যরা একজোট হয়ে চড়াও হয়। কার অনুমতি নিয়ে ভিডিও করছেন বলেও হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। এখানে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না, চলে যান। তিনি আরও বলেন, যানবাহনের কাগজপত্র দেখার সময় সেখানে সাধারণ মানুষকে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার এসআই তমাল বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। তারা সাংবাদিক কিনা প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি। তাদের বলেছি-কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ভিডিও করা যাবে না, নিষেধ আছে। অনুমতি নিয়ে ভিডিও করবেন। চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব চালক ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটারের বেশি স্পিডে গাড়ি চালায় তাদের নামে মামলা বা জরিমানা করি। শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, এ বিষয় আমার জানা নেই। কোনো পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা নেব।