জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ১৬ই ডিসেম্বর-২৩ ইং তারিখে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বিবির চর গ্রামের মৎস্য চাষী খোকন মিয়ার উপর সন্ত্রাসী দৌলত বাহিনী হামলা করে খামারের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে যায়।সন্ত্রাসী দৌলত বাহিনীর হামলায় মালিক খোকন মিয়া গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।সূত্রে জানা যায় লেখাপড়া শেষ করে সোনার হরিণ চাকরির পিছনে না ঘুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোক্তা হওয়ার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গত চার বছর আগে নিজ গ্রাম বিবির চরে গড়ে তুলে মৎস্য খামার।
তার মৎস্য খামারের সফলতা দেখে হিংসায় জ্বলে উঠেন সন্ত্রাসী দৌলত ও তার ছেলে রাজিব বাহিনী, প্রায় সময় দৌলত বাহিনী খোকন মিয়ার কাছে চাঁদাদাবি করত দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ১৬ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় সন্ত্রাসী দৌলত ও তার ছেলে রাজিব তাদের বাহিনী নিয়ে বেড় জাল দিয়ে খামার থেকে উক্ত মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিক খোকন মিয়া বাঁধা দিতে আসলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে খামারের পাশে ফেলে রেখে কয়েক লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে খোকন মিয়ার ডাক চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এসে মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করান। এলাকাবাসীর সুত্রে জানা জায় খোকন মিয়া লেখাপড়া শেষ করার পর গত চার বছর যাবত নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের বিবির চর গ্রামের মধ্যে গড়ে তোলে মৎস্য খামার এবং আল্লাহর রহমতে সফলতা ও পেয়ে যায়। খোকন মিয়ার মৎস্য চাষের সফলতা দেখে গ্রামের বহু বেকার যুবক মাছ চাষে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই মৎস্য চাষে উদ্যোক্তা হয়েছেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের একই গ্রামের সন্ত্রাসী দৌলত তার ছেলে রাজীব বাহিনীর কাছে গ্রামের
সকল উদ্যেক্তারা জিম্মি হয়ে আছে।এলাকাবাসী আরো জানান গতকাল ১৬ই ডিসেম্বর গভীর রাতে খোকন মিয়ার মৎস্য খামার থেকে সন্ত্রাসী দৌলত ও তার ছেলে রাজিব বাহিনী কয়েক লক্ষ টাকার মাছ নিয়ে যায় এবং খোকন মিয়াকে অমানবিক নির্যাতন করে যাহা একটি সভ্য সমাজে কখনো কাম্য নয়।আমরা এলাকাবাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবী জানাই অচিরেই সন্ত্রাসী দৌলত ও তার ছেলে রাজিব বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষদের নিরবিচ্ছিন্ন জীবন যাপনের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়ে সন্ত্রাসী দৌলত ও তার ছেলে রাজিব এর মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পরও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।