ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মুক্তি পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। প্রায় ১৫ মাস পর আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা । কারাগার থেকে মুক্তির পর খাদিজা সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন বলে জানা গেছে। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন। সোমবার থেকে খাদিজার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় দ্রুত আদেশের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রার্থনা করা হয় প্রধান বিচারপতির কাছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যথাযথ নির্দেশ প্রদান করেন।
গতকাল রোববার গভীর রাত পর্যন্ত তার আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা কারা ফটকে অপেক্ষা করলেও মুক্তি মেলেনি। পরে সোমবার সকালে মুক্তি পান তিনি।
অনলাইনে সরকার বিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দু’টি মামলা করে পুলিশ।
২০২২ সালের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেফতার করে নিউমার্কেট থানা পুলিশ। এরপর থেকে কারাগারে ছিলেন তিনি।
ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন না মঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এ জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ। ধারাবাহিতকায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।
গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।