• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে ৫০ হাজার রুপি ও পোশাক মেরে দেয়ার অভিযোগ প্রযোজকের

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক

অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং করতে ৩০ আগস্ট কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেটি না করে ৭ সেপ্টেম্বর চলে যান। আকস্মিকভাবেই শোনা যায় সায়ন্তিকা শুটিং শেষ না করেই কলকাতা চলে গেছেন।

এরই মধ্যে তার চলে যাওয়ার নিয়ে নানা রকম খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সায়ন্তিকা নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর সঙ্গে দোষারোপ করেন প্রযোজককে।

তবে প্রযোজক মনিরুল ইসলামের দাবি, নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর সঙ্গে কাজ করবেন না বলেই ঢাকা ছেড়েছেন সায়ন্তিকা। সঙ্গে এটাও জানান, মাইকেলের বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা হাত ধরার যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয়।

সায়ন্তিকা দাবি করেছেন, নৃত্য পরিচালক নয়, বরং মূল সমস্যার নেপথ্যে সিনেমার প্রযোজক। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছে ছায়াবাজের শুটিং। বারবার চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান পাননি তিনি।

সায়ন্তিকার এমন অভিযোগ রোববার এক সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে আর কী বলার আছে।’

শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘কীভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সে পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’

মনিরুল আরও বলেন, ‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য বেলা ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’

নৃত্য পরিচালক পরিবর্তন নিয়ে প্রযোজক মনিরুল বলেন, ‘চারটি গানে তিনজন নৃত্য পরিচালকের কাজ করার কথা। প্রথম গানটি করেছিলেন সাইফ খান কালু। তার আরেকটি গান ছিল শিশুশিল্পীকে নিয়ে। সে গানটি পরে করার কথা। তাই কালু চলে এসেছেন। সেখানেই তাকে তার পেমেন্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর পরিচালক কাকে দিয়ে নৃত্য পরিচালনা করাবেন, সেটা তার বিষয়।

সায়ন্তিকা মাইকেলকে বলেছেন, ‘‘বাচ্চা ছেলে’। মাইকেল তো নৃত্য পরিচালক সমিতির সদস্য। নিশ্চয়ই তার যোগ্যতা না থাকলে তিনি কোনো সংগঠনের সদস্য হতে পারতেন না। মাইকেলের বিরুদ্ধে এমন কথা বলে সায়ন্তিকা আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে অসম্মান করেছেন।’’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ