০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট: শতাধিক কূটনীতিকের ওয়াকআউট

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৯:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩
মো. লাকিবুজ্জামান | ডেইলি বর্তমান কথা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শুক্রবার এক বিরল দৃশ্যের জন্ম হলো। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে বক্তব্য দিতে উঠতেই সভাকক্ষ থেকে একসাথে বের হয়ে গেলেন শতাধিক কূটনীতিক।

প্রতিবাদী এ ওয়াকআউটে অংশ নেন বিভিন্ন আরব দেশসহ লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার প্রতিনিধিরা। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা ও ব্যানার। কূটনীতিকরা গাজার চলমান যুদ্ধ, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে শিশু ও নারী হত্যাকাণ্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চালানো হামলার বিরুদ্ধে এই প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

জাতিসংঘের কূটনৈতিক মহলে এই ওয়াকআউটকে “অভূতপূর্ব প্রতিবাদ” হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে গভীর ক্ষোভ ও বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে।

নেতানিয়াহুর বক্তব্য শুরুর আগে থেকেই অধিবেশন কক্ষের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশ ও স্লোগান চলছিল। মঞ্চে ওঠার সাথে সাথেই কূটনীতিকদের এই পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

অবশ্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আগের মতোই শক্ত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং হামাসকে দোষারোপ করেন। তবে ওয়াকআউটের ফলে তার বক্তব্য কার্যত অনেকটাই গুরুত্ব হারায়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় জানিয়েছে, কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হলেও এটি বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট বার্তা বহন করছে—যুদ্ধ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর চুপ করে নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট: শতাধিক কূটনীতিকের ওয়াকআউট

আপডেট: ০৯:২৩:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মো. লাকিবুজ্জামান | ডেইলি বর্তমান কথা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শুক্রবার এক বিরল দৃশ্যের জন্ম হলো। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে বক্তব্য দিতে উঠতেই সভাকক্ষ থেকে একসাথে বের হয়ে গেলেন শতাধিক কূটনীতিক।

প্রতিবাদী এ ওয়াকআউটে অংশ নেন বিভিন্ন আরব দেশসহ লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকার প্রতিনিধিরা। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা ও ব্যানার। কূটনীতিকরা গাজার চলমান যুদ্ধ, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে শিশু ও নারী হত্যাকাণ্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চালানো হামলার বিরুদ্ধে এই প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

জাতিসংঘের কূটনৈতিক মহলে এই ওয়াকআউটকে “অভূতপূর্ব প্রতিবাদ” হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে গভীর ক্ষোভ ও বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে।

নেতানিয়াহুর বক্তব্য শুরুর আগে থেকেই অধিবেশন কক্ষের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থী সমাবেশ ও স্লোগান চলছিল। মঞ্চে ওঠার সাথে সাথেই কূটনীতিকদের এই পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

অবশ্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আগের মতোই শক্ত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং হামাসকে দোষারোপ করেন। তবে ওয়াকআউটের ফলে তার বক্তব্য কার্যত অনেকটাই গুরুত্ব হারায়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় জানিয়েছে, কূটনীতিকদের এই প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ হলেও এটি বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট বার্তা বহন করছে—যুদ্ধ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আর চুপ করে নেই।