ভাঙনের কবলে কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক
- আপডেট: ০১:০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / ১৮৩
শাহিন আলম, টেকনাফ | বর্তমান কথা
কক্সবাজার–টেকনাফের বিখ্যাত মেরিন ড্রাইভ সড়ক আবারও পড়েছে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে। গত বছরের ভাঙনের রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারও শুরু হয়েছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। মে মাসের শুরু থেকেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঢেউ ও জলোচ্ছ্বাসে একাধিক স্থানে এই সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা দুইদিন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল ও বাহারছড়া ঘাট এলাকায় সড়কের অন্তত ১০টিরও বেশি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বাহারছড়া ও শীলখালীর দুটি পয়েন্টেও সড়কের অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের ফলে ভাঙন প্রতিরোধে বসানো জিও টিউব ব্যাগগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে এবং পানির তোড়ে উপচে পড়েছে সড়কের মাটি। জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সড়কের পাশের ঝাউগাছগুলোও। ফলে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও পড়ছে প্রভাব।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ সলিম জানান, “জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দিন দিন তীব্র হচ্ছে। সড়কের পশ্চিম পাশে বসানো জিও ব্যাগের বাঁধ একের পর এক ধসে পড়ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে সৈকত থেকে বালু তুলে জমি ভরাট করছেন। এতে মেরিন ড্রাইভের গোড়ার অংশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। জোয়ারের সময় এই দুর্বল জায়গাগুলোতেই প্রথম ভাঙন শুরু হয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেহেতু মেরিন ড্রাইভ সড়কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর, তাই তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়া গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
এর আগে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একই এলাকায় পূর্ণিমার জোয়ারে মেরিন ড্রাইভের ক্ষতি হয়েছিল। তখন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) জিও টিউব ব্যাগ ব্যবহার করে সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করেছিল।