উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চলে দুর্ভোগ,,,,দৈনিক বর্তমান কথা
- আপডেট: ০২:০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১২
উত্তরাঞ্চলে উজানের ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে লালমনিরহাট জেলার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক, বসতভিটা ও খেত-খামার তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সমতল দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ১৮ মিটারে। এটি বিপৎসীমা (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) থেকে ৩ সেন্টিমিটার বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডালিয়া পয়েন্টের পরিমাপক নুরুল ইসলাম।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা ছাড়াও ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।
পানি বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক আমিনুল হোসেন জানান, নদীর পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু করায় চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের দিনমজুর এনামুল কবির বলেন, “পশুপাখি ও শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে মানুষ চরম কষ্টে আছে, এখনও কোনো সহায়তা মেলেনি।”
হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবে জরুরি ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানিয়েছেন, “উজানের ঢল ও বৃষ্টির কারণে পানি বেড়েছে। তবে আপাতত বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।”