স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের
গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপার ও বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় অপ্রতিরুদ্ধ চোরাচালান ব্যবসা, বেপরোয়া লাইনম্যান (আখলাকুল আম্বিয়া) সিন্ডিকেট চক্রের! সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য। সেই রাজ্যের নিয়ন্ত্রক এখন স্থানীয় থানা পুলিশের বিট কর্মকর্তা এসআই কামাল, ও সহকারী বিট কর্মকর্তা এএসআই তানভীর, সহযোগিতায় স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক লেবাসধারী খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক (আখলাকুল আম্বিয়া) ব্যাক্তিবর্গ ও লাইনম্যানরা।
স্থানীয় সুত্র জানা যায়, গোয়াইনঘাট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, বিট অফিসার ও দমদমিয়া বিজিবির ক্যাম্প কামান্ডারসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাদারপার বিছনাকান্দি সীমান্তে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে থানা পুলিশের নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রতি রাতে থানা পুলিশের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে চোরাচালান বানিজ্য। সুত্র জানায়, রাজস্ব বোর্ডের ট্যাক্স ফাকি দিয়ে উপজেলার ১ নং রুস্তমপুর ইউপি ও ১৩ নং বিছনাকান্দী ইউপির সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করছে। ওই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে শতকোটি টাকার গরু, মহিষ, চিনি, অস্ত্র, কিট, কসমেটিক, শীতের পোশাক, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্টফোন, মোটরসাইকেল ইত্যাদি মালামাল। এসব চোরাচালান সম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন থানা পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত চাঁদাবাজরা। মাফিয়া গ্যাং চক্রের সদস্যরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ নং রুস্তমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন, জালাল মেম্বার, আখলাকুল আম্বিয়া, সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা। ভারতীয় গরু প্রতি ২০০০ টাকা নেন, চিনির বস্তা প্রতি ৩শ টাকা, কিট প্রতি ১০০০ টাকা কসমেটিক এর কাটুন থেকে ৫০০ কাটা চাঁদা আদায় করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। লাইনম্যান আখলাকুল আম্বিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, স্থানীয় সংবাদকর্মী ও নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করছেন খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক আখলাকুল আম্বিয়া। সিলেটসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মীকে ম্যানেজ করেছেন। কয়েক জন সাংবাদিক এর বিকাশ নাম্বারে ২০০০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
আখলাকুল আম্বিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু, স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন এখানে লোকানোর কিছু নাই যারা যোগাযোগ করেছে সবাইকে দিয়ে আমাদের একটু সুযোগ দিন আপনাদেরকে দেখবো । ভাই আজকে আমাদের বাজার পরে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন আখলাকুল আম্বিয়া।
এবিষয়ে জানতে এসআই কামাল এর ব্যবহারকৃত মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমার পোস্টিং হয়ে গেছে এসবের কিছুই আমার জানা নেই বলে ফোন রেখে দেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত না করে আমি কিছু বলতে পারবনা কারণ আমি এসবের টাকা জানিনা এলাকায় বিট অফিসার ও সহকারী বিট অফিসাররা আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন বলে ফোন রেখে দেন।