• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

সেপ্টেম্বর থেকে এইচপিভি ভ্যাকসিন পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়ে শিশুকে এইচপিভি টিকা দেওয়া শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে। সে লক্ষ্যে দেশের কত সংখ্যক মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রথম ধাপে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিভাগে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করবে। এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য বিভাগে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আগামী সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ১০-১৪ বছর বয়সী শিশু-কিশোরীদের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধী কার্যকর এইচপিভি ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখিত বয়সসীমার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী হওয়ায় বিদ্যমান ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের স্কুলসমূহে ভ্যাকসিনেশন সেশন আয়োজন করা হবে এবং সেপ্টেম্বর সময়কালে প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগে এ ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এই অবস্থায়, ঢাকা বিভাগে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এ বিভাগের আওতাধীন ঢাকা বিভাগের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম-৯ম শ্রেণি বা সমমানের ছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক সংখ্যা নিদিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী পাঠাতে হবে। এ বিভাগের অধীনস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

জানা গেছে, এইচপিভি জরায়ুমুখ ক্যানসারের জন্য দায়ী একটি ভাইরাস। ২০১৬ সালে সরকারিভাবে গাজীপুরে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০ হাজারের মতো ১০ বছর বয়সী মেয়ে-শিশুকে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়েছিল। ছয় মাসের মধ্যে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পটি শেষ হলেও এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি আর বর্ধিত হয়নি।

দীর্ঘদিন পর ২০২২ সালের ১২ মার্চ এইচপিভি টিকার জন্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) বাংলাদেশকে অনুমোদন দেয়। এরপর গত বছরের জুলাই থেকে দেশজুড়ে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা পেছাতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। অবশেষে সেই টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ