• মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দুই-এক মাসের মধ্যে ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা:নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা স্মৃতিসৌধে অসু্স্থ হয়ে পড়লেন মির্জা ফখরুল, নেওয়া হয়েছে সিএমএইচে ভোট নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিজয় দিবসে যান চলাচলে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা দীর্ঘ ৭ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া সবকিছু হারালেন ২ যাত্রী রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম সিরিয়ায় হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলকে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান কবি হেলাল হাফিজ।

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান কবি হেলাল হাফিজ।

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার (অনলাইন):

না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন খ্যাতিমান কবি হেলাল হাফিজ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। হেলাল হাফিজ - উইকিপিডিয়া

 

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রেজাউর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানী শাহবাগে অবস্থিত সুপার হোমের বাথরুমে পড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয় হেলাল হাফিজের। কর্তৃপক্ষ তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকার শাহবাগের এক হোটেলে তিনি বাথরুমে পড়ে যান। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। রাজধানীর শাহবাগের সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাকে।  তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। হেলাল হাফিজ কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

প্রতিভাবান এই কবির জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়।তার পিতার নাম খোরশেদ আলী তালুকদার । আর মাতার নাম কোকিলা বেগম। ১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশে সাংবাদিকতায় যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন । সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন।

সাহিত্য কর্ম ও পুরস্কার

বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি যিনি স্বল্পপ্রজ হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয়। কবিতার জন্য পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বৈশাখী মেলা উদ্‌যাপন কমিটির কবি সংবর্ধনা (১৯৮৫), যশোহর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৬), আবুল মনসুর আহমদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৭), নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজ, কবি খালেদদাদ চৌধুরী সাহিত্য পদক সম্মাননা,বাসাসপ কাব্যরত্ন – ২০১৯ প্রভৃতি। কবিতায় তিনি ২০১৩ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ