• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
খিলক্ষেত বাসীর অন্তরের চাওয়া শিশুপার্ক নির্মাণে বিএনপির নেতৃবৃন্দদের ভূমিকা প্রশংসনীয় আশুলিয়ায় ৫শ’ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে ‘ছোনাউঠা হাওলাদার সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ চট্রগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেনের ডিন ড. ফাতেমা মেরী সিডতামের ওব্যাট হেল্পার্স প্রজেক্ট পরিদর্শন রাজশাহীতে পদ্মা বেকারিতে ভুয়া বিএসটিআই লগো যাত্রী সংকটে গেলো না সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ কৃষক দল নেতা হত্যার ছয় বছর পর মামলা গুইমারায় সাংবাদিকদের সাথে সেনা কর্মকর্তার মতবিনিময় সিন্দুকছড়ি জোনের পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কেন

কৃষক দল নেতা হত্যার ছয় বছর পর মামলা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

রাজশাহী জেলা

মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীতে কৃষক দল নেতা হত্যার ছয় বছর পর মামলা হয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে হত্যার ছয় বছর পর মামলা করেছে পরিবার। এ মামলায় পুলিশ স্থানীয় এক শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই মাদক কারবারির নাম সেতাবুর রহমান বাবু (৩৬)। তার বাবার নাম আতাউর রহমান। বাড়ি উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে। তিনি মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি এই সেতাবুর রহমান বাবু। তার নামে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই কর্মী এতদিন দাপটের সঙ্গেই মাদক ব্যবসা করেছেন।

নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম কুসুম উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তার আরেক ছেলে আসাদুজ্জামান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান মাসুম সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। তখন আদালত গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে প্রাথমিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে যে বাদীর অভিযোগ সঠিক। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী শনিবার রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে রবিউল সরকার কুসুম মাটিকাটা ভোটকেন্দ্রে যান। এ সময় আওয়ামী লীগের ওই কর্মীরা বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেন। ভোট দিতে গেলে প্রাণেই মেরে ফেলা হবে বলে তাদের হুমকিও দেওয়া হয়। তবে বাবা ছেলে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন।

এরপর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আসামিরা নজরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালান। দুই লাখ টাকার মালামালও লুট করেন। বাধা দিতে গেলে আসামিরা নজরুল ইসলামকে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। ওই সময় আসামিরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই নজরুল ইসলামের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করেন। আসামিদের ভয়ে তখন পরিবারের সদস্যরা মামলাও দায়ের করতে পারেননি।

গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শনিবার রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর মামলার প্রধান আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ