বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জাংছড়ি সীমান্ত দিয়ে গত দুই দিনে সেই দেশের জান্তা বাহিনী বর্ডার গার্ড (পুলিশ) দুই দফা ১৭৯ সদস্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
সুত্রে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জাং ছড়ি সীমান্তের ৪৬ ও ৪৭ পিলার পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প, অংচাফ্রী ক্যাম্প ও সালি ডং ক্যাম্পের ওপারের মিয়ানমার অভ্যন্তরে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব গোলার আওয়াজে এপারে যেন ভূমিকম্প সৃষ্টি হচ্ছিল।
মিয়ানমারে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের প্রথমে ২৯ জন সদস্য সোমবার (১১মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ বিজিবির আশ্রয় নেই। তাদের নাইক্ষ্যংছড়িস্হ ১১ বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরে একই পথে ১৫০ জন বিজিপির সদস্য বিজিবির কাছে আশ্রয় নেই। তাদের ও ভোর রাতে বিজিবির নিজস্ব গাড়ি ব্যাটালিয়ানে নিয়ে আসে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের ও ব্যাটেলিয়ান সদরে বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। অপরদিকে গুলি বৃদ্ধ মেম্বার ছাবের আহমেদের শরিল থেকে অপারেশনের মাধ্যমে গুলি বাহির করা হয়েছে। সে এখনো কক্সবাজার ফুয়াদ আলখতিব হাসপাতালে চিকিৎসাদিন বলে জানান তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এর আগেও দেশটির সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে জাহাজে করে তাদের মিয়ানমারে
ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক মোহাম্মদ ইউনুছ মোবাইল নম্বর ০১৮১৫৩৩৫০১৩