বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিগত সময়ে রেলেওয়ের কালো বিড়ালের দৌরাত্ব কমাতে সরকারের নানা তৎপরতার মধ্যেও আধো-আলো আঁধারের মাঝে ছদ্দবেশী কিছু কালো বিড়াল সাদা-কালো বেশে এখনো সক্রিয় রয়েছে। যার সংখ্যা ও কম নয়।তবে এদের মধ্যে অন্যতম শিষ্য তালিকা রয়েছেন এডভোকেট হুমায়ুন কবির নামের জনৈক রেল শ্রমিক ইউনিয়ন(সিবিএ) সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)শীর্ষ পদ হস্তগত করে তার বদৌলতে রেল এর প্রায় সমস্ত কর্মকাণ্ডে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
শুধু তাই নয়,দীর্ঘ প্রায় সাত বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন ঠিকই,ছাড়েনি পদ পদবী।খোদ বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ)সভাপতি পরিচয়ে স্টাফ কোয়ার্টার এর একটি বিল্ডিং দখল করে আছেন,সেই সাথে রেলের নিয়োগ বদলি-সহ সকল কাজে খাটিয়ে যাচ্ছেন একচ্ছত্র অধিপত্য।এমনকি তার পরিবারের সদস্য দিয়ে রেলভারী করে দাপট খাটিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।এসব বিষয়ে জানার জন্য হুমায়ুন কবিরের মুঠো ফোনে ফোন করলে তিনি জানান,তিনি তার ভাই এর কোয়াটারে বসবাস করেন।আর পদ পদবি ধরে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন কর্মচারীরা চায় বলে তিনি ধরে রেখেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেলওয়ে ওয়ার্কশপের বড় বাবু’র দায়িত্বে থাকা হুমায়ুন কবির রেলে শ্রমিক ইউনিয়ন (সিবিএ)এর শীর্ষ পদ হস্ত্যগত করে কৌশলে লুটপাটে মত্ত ছিলেন দীর্ঘদিন।
বিগত সময়ে রেল এর কালো বিড়াল হটাও তৎপরতায় কৌশলে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যান।ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন।এছাড়া তার নিজের অবৈধ দখলে থাকা কোয়াটারটি নিয়ে প্রশ্ন এড়াতে তার ছোট ভাই এর নামে বরাদ্দ বলে চালিয়ে দেন।অথচ তার ছোট ভাই রেলের পার্সেলে কর্মরত একজন কর্মচারী।আর তিনি একাধারে কর্মকর্তা,সিবিএ সভাপতি,সরকার দলীয় তকমা সহ আইন অজ্ঞের লেভাসে বাংলাদেশ রেলওয়েতে নির্বিঘ্নে চালিয়ে আসছেন লুটপাট।এতে ক্ষুব্ধ সুবিধা বঞ্চিতদের প্রতিবাদ প্রতিরোধ তার টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি।ফলে এখনো তিনি রেলেওয়ের বহির্ভূত লোক হয়েও প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ফায়দা হাসিলে সক্রিয় রয়েছেন।