• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় পাওনাদারকে হত্যার হুমকি, প্রতিকার চেয়ে থানায় জিডি

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় শাহিনুর আহমেদ নামের এক নারীর বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচার ও প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসীর ক্যাশিয়ার ও পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জহিরুল ইসলাম।

শাহিনুর আহমেদের সাথে এসএম জহিরুল এর ব্যবসায়ীক লেনদেন থাকায় বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন তিনি। বর্তমানে শাহিনুরের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায়, পূর্বের টাকা ফেরত চাওয়ায় জহিরুল সমাজের বিভিন্ন মানুষের কাছে শাহীনুরের নামে অপপ্রচার করে তাকে হেয় করে চলছে। এমনকি, বিভিন্ন সময় তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

এস এম জহিরুল শাহিনুরের নামে বিভিন্ন নামসর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টালে তার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

উক্ত ঘটনায়, ভুক্তভোগী শাহীনুর রাজধানীর পল্লবী থানায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার (নং: ২১২২)।

 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, এই জহিরুল মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে নিতে তার বিশাল বাহিনী রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ব্যবসায়ী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, ব্যবসায়ীকে মোবাইল ফোনে গুলি করে হত্যার হুমকিও দেন জহিরুল। সেই হুমকির কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরালও হয়।

এছাড়াও, সুনামধন্য টেলিভিশনের এক রিপোর্টারকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত জহিরুল। এ বিষয়ে সেই ভুক্তভোগী সাংবাদিক নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে পল্লবী থানায় তিনিও একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানা গেছে।

এমনকি, রাজধানীর পল্লবী থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে, অভিযুক্ত এস এম জহিরুল এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ সকল বিষয়ে, পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি আমি অবগত, এটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে যে দোষী প্রমাণিত হবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ