• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সাংবাদিক অহিদ উদ্দিন মুকুলের বাবার ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত সরকারের ব্যর্থতা ধরিয়ে দিন, সাংবাদিকদের তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী (অব) এর হাত থেকে সনদপত্র গ্রহণ করেন তুহিন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু’র অনিয়ম-দূর্নীতি দেখার কেউ নাই (পর্ব-২) মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডেকেছে ডিবি প্রভাবশালীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি রাশেদা রাজের সঙ্গে প্রেম হওয়ার সুযোগ নেই: মন্দিরা অর্থমন্ত্রী আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমআইএসটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না, মন্ত্রী-এমপিদের উদ্দেশ্যে ইসি

স্ত্রীকে নিয়ে স্যানিটারি পণ্য কিনতে গিয়েছিলেন বিস্ফোরণের সময় মৃত্যু হয়েছে এই দম্পতির

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম (৩৮)। স্ত্রী নদী আক্তারকে নিয়ে স্যানিটারি পণ্য কিনতে গিয়েছিলেন রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে। তবে ওই এলাকায় বিস্ফোরণের সময় মৃত্যু হয়েছে এই দম্পতির।গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মমিনুল ইসলামের মামাতো ভাই আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘বাসার বেসিন ফেটে গেছিল। বেসিনসহ আরও কিছু স্যানিটারি পণ্য কেনার জন্য ভাই ও ভাবি বেরিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা মারা গেলেন। এখনও মৃত্যুর খবর ভাই ও ভাবির মা–বাবাকে জানানো হয়নি। তারা হাসপাতালে এলে আরও কষ্ট বাড়বে। হাসপাতাল থেকে লাশ বের করে তারপর তাদের জানাব।’

নিহত মমিনুলের চাচা জয়নাল আবেদীন বলেন,‘ভাতিজা মমিনুল ইসলাম (৩৮) আর তার বউ নদী বেগম (৩৫) বাসার জন্য কিছু স্যানিটারি সরঞ্জাম কিনতে গিয়েছিল। তারা একসঙ্গে লাশ হয়ে ফিরবে এটা কে জানত। আহারে, একটা সংসার শেষ হয়ে গেল।’জানা যায়, মমিনুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায়। নদী ইসলামের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে। ঢাকার চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় থাকতেন তাঁরা। মমিনুল ইসলাম সিসিটিভি ক্যামেরা মেরামতের কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী নদী আক্তার গৃহিণী ছিলেন।নিহত দম্পতির ৯ বছর বয়সী এক ছেলে ও ১১ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে কয়েকশ মানুষ ভিড় করেছেন। কেউ স্বজনের খোঁজ পেলেও দেখতে পারেননি। তাঁদের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর হতাহতদের একে একে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনা আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ দুঘর্টানায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দুই শতাধিক।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। বহু মানুষ উড়ে এসে রাস্তায় পড়েছেন। সড়কে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শবর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পেরেছেন আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page