০২:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফের গুলিতে পাহাড়ি ৩ জন হত্যার সুবিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ!,,

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট: ০৭:০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৮২

সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফের গুলিতে পাহাড়ি ৩ জন হত্যার সুবিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ!

ডেস্ক রিপোর্ট : (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি!

খাগড়াছড়ি’র গুইমারাতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর, সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী ইউপিডিএফের গুলিতে ৩ জন সাধারণ পাহাড়ি যুবক হত্যার, সুবিচারের দাবিতে ২৯ অক্টোবর) বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)’র আয়োজনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য: গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা, অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে, খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এবং মামলা এজাহার যুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে দেয়া হয়। এদিকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করতে, ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। পরীক্ষা-নিক্ষা করার পর ৩ সদস্যের মেডিকেল টিম জানান, ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিথ্যা ধর্ষণের ইস্যুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর। সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে।

এরপর তারা সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, গুইমারা খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেয়। ঐ দিন সকাল সাড়ে দশটায় ইউপিডিএফের, ক্যাডার এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াতে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে, তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়।

এতে, সেনাবাহিনীর ৩ জন অফিসারসহ ১১ জন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন ১১.৩০ এর দিকে রামসু বাজারের উত্তর-পূর্ব দিক অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র দলের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে পাহাড়ি বাঙালির ও সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন প্রাণ হারান ও সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

এর আগে গত ১০ মে ২০২৫ ইং তারিখে ইউপিডিএফ ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক করে ঘোষণা দিয়েছিলেন। যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসন না এলে সংকট সৃষ্টি হবে। মূলত এর পর থেকেই ইউপিডিএফ ফন্দি আঁটে কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংকট দেখানো যায়, তারই ধারাবাহিকতায় বৃহত্তর, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ পাহাড়ে একের পর এক সংঘাত সৃষ্টি করে।

তারা পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে যাতে করে, তাদের দাবির পক্ষে দেখানো যায় পাহাড়ে সংকট চলছে। স্বায়ত্তশাসন দিয়ে দাও” তাদের অনৈতিক দাবি আদায় করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে পাহাড়ে সংকট দেখানোর জন্য তারা অত্যন্ত সু-সুকৌশলে তিনজন সাধারণ পাহাড়িকে নিজেরাই হত্যা করে বলী দেয়। যাতে এই তিনজন সাধারণ পাহাড়ির লাশ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা যায়। আর তখনি উত্তপ্ত পাহাড়ে, সংকট চলছে বলে তাদের দাবি আদায় করতে সুবিধা হবে।
এমন সব ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩জন পাহাড়ি যুবকের হত্যা নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার চেষ্টা চালান।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফের গুলিতে পাহাড়ি ৩ জন হত্যার সুবিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ!,,

আপডেট: ০৭:০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফের গুলিতে পাহাড়ি ৩ জন হত্যার সুবিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ!

ডেস্ক রিপোর্ট : (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি!

খাগড়াছড়ি’র গুইমারাতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর, সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী ইউপিডিএফের গুলিতে ৩ জন সাধারণ পাহাড়ি যুবক হত্যার, সুবিচারের দাবিতে ২৯ অক্টোবর) বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)’র আয়োজনে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য: গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা, অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে, খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এবং মামলা এজাহার যুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে দেয়া হয়। এদিকে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করতে, ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। পরীক্ষা-নিক্ষা করার পর ৩ সদস্যের মেডিকেল টিম জানান, ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিথ্যা ধর্ষণের ইস্যুতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর। সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে।

এরপর তারা সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে, গুইমারা খাগড়াছড়ি রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেয়। ঐ দিন সকাল সাড়ে দশটায় ইউপিডিএফের, ক্যাডার এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াতে লিপ্ত হয়। এই পর্যায়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে, তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়।

এতে, সেনাবাহিনীর ৩ জন অফিসারসহ ১১ জন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়। একই সময় তারা রামগড় এলাকায় বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং বিজিবি সদস্যদের আহত করে। সংঘর্ষ চলাকালীন ১১.৩০ এর দিকে রামসু বাজারের উত্তর-পূর্ব দিক অবস্থিত উঁচু পাহাড় থেকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র দলের সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে পাহাড়ি বাঙালির ও সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে আনুমানিক ১০০-১৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জন প্রাণ হারান ও সংঘর্ষে লিপ্ত এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

এর আগে গত ১০ মে ২০২৫ ইং তারিখে ইউপিডিএফ ঐকমত্য কমিশনের সাথে বৈঠক করে ঘোষণা দিয়েছিলেন। যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসন না এলে সংকট সৃষ্টি হবে। মূলত এর পর থেকেই ইউপিডিএফ ফন্দি আঁটে কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংকট দেখানো যায়, তারই ধারাবাহিকতায় বৃহত্তর, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ পাহাড়ে একের পর এক সংঘাত সৃষ্টি করে।

তারা পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে যাতে করে, তাদের দাবির পক্ষে দেখানো যায় পাহাড়ে সংকট চলছে। স্বায়ত্তশাসন দিয়ে দাও” তাদের অনৈতিক দাবি আদায় করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে পাহাড়ে সংকট দেখানোর জন্য তারা অত্যন্ত সু-সুকৌশলে তিনজন সাধারণ পাহাড়িকে নিজেরাই হত্যা করে বলী দেয়। যাতে এই তিনজন সাধারণ পাহাড়ির লাশ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করা যায়। আর তখনি উত্তপ্ত পাহাড়ে, সংকট চলছে বলে তাদের দাবি আদায় করতে সুবিধা হবে।
এমন সব ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩জন পাহাড়ি যুবকের হত্যা নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার চেষ্টা চালান।