০৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

“ভারত দুঃসাহস করলে জবাব আরও কঠোর হবে: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি”

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০৬:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / ২৭৩

পাকিস্তান আইএসপিআর-এর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান জাতির ঐক্য, শক্তি ও শান্তির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ভারতকে আবারও ‘কঠোর হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোববার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “যদি ভারত আবার আগের মতো কোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।”

সামা টিভি‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক (ডিজি) আহমেদ শরীফ ওই বিবৃতিতে ভারতের কৌশলগত ব্যর্থতা, আগ্রাসী মনোভাব এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “ভারত ভেবেছিল, তারা আঘাত করবে আর পাকিস্তান চুপ থাকবে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এক লৌহদৃঢ় প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিল এবং ভারতের কৌশলের একের পর এক ত্রুটি উন্মোচন করেছিল।”

সেনাবাহিনীর ঐক্য নিয়ে গুজব উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত মনে করেছিল পাকিস্তানের জনগণ ও সেনাবাহিনী বিভক্ত— এটা সম্পূর্ণ ভুল। এই জাতি সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।”

ভারতের বিমান হামলার প্রসঙ্গ টেনে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “৬ ও ৭ তারিখে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি থেকে জেট উড়ে এসে পাকিস্তানি শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করে— আমরা সেই বিমান ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে জবাব দিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “মুজাফফরাবাদে সাত বছর বয়সি শিশু ইর্তিজা ভারতীয় গোলাবর্ষণে শহীদ হলে, আমরা ওই ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করি।”

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান কখনও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি। “আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিকেই অগ্রাধিকার দেই,” বলেন তিনি।

আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহমেদ শরীফ দাবি করেন, “পাকিস্তানে প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ভারতের চেহারা স্পষ্ট।” তিনি বলেন, “যারা মসজিদে বোমা ফেলে, নিরীহ মানুষ হত্যা করে— তারা ইসলাম বা খাইবার পাখতুনখোয়ার গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশ নয়, তারা ভারতের অনুসারী।”

চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তোমরা ভারতের কাছে সাহায্য চাও— সেই দেশ যারা কাশ্মীরি নারীদের মর্যাদা লঙ্ঘন করে। তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।”

আফগানিস্তানকে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মুসলিম প্রতিবেশী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আহমেদ শরীফ বলেন, “আফগান জনগণ আমাদের ভাই। তবে কিছু অভিজাত গোষ্ঠী ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।”

তিনি আফগানদের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়ার অনুরোধ জানান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার সাহসী জনগণকে আহ্বান জানান, “আবার বলার সময় এসেছে— কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের।”

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

“ভারত দুঃসাহস করলে জবাব আরও কঠোর হবে: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি”

আপডেট: ০৬:০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পাকিস্তান জাতির ঐক্য, শক্তি ও শান্তির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ভারতকে আবারও ‘কঠোর হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোববার এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “যদি ভারত আবার আগের মতো কোনো দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।”

সামা টিভি‘র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক (ডিজি) আহমেদ শরীফ ওই বিবৃতিতে ভারতের কৌশলগত ব্যর্থতা, আগ্রাসী মনোভাব এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “ভারত ভেবেছিল, তারা আঘাত করবে আর পাকিস্তান চুপ থাকবে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এক লৌহদৃঢ় প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়েছিল এবং ভারতের কৌশলের একের পর এক ত্রুটি উন্মোচন করেছিল।”

সেনাবাহিনীর ঐক্য নিয়ে গুজব উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত মনে করেছিল পাকিস্তানের জনগণ ও সেনাবাহিনী বিভক্ত— এটা সম্পূর্ণ ভুল। এই জাতি সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।”

ভারতের বিমান হামলার প্রসঙ্গ টেনে আইএসপিআর প্রধান বলেন, “৬ ও ৭ তারিখে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি থেকে জেট উড়ে এসে পাকিস্তানি শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করে— আমরা সেই বিমান ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে জবাব দিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “মুজাফফরাবাদে সাত বছর বয়সি শিশু ইর্তিজা ভারতীয় গোলাবর্ষণে শহীদ হলে, আমরা ওই ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করি।”

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান কখনও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি। “আমরা শান্তিপ্রিয়, শান্তিকেই অগ্রাধিকার দেই,” বলেন তিনি।

আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আহমেদ শরীফ দাবি করেন, “পাকিস্তানে প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ভারতের চেহারা স্পষ্ট।” তিনি বলেন, “যারা মসজিদে বোমা ফেলে, নিরীহ মানুষ হত্যা করে— তারা ইসলাম বা খাইবার পাখতুনখোয়ার গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশ নয়, তারা ভারতের অনুসারী।”

চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “তোমরা ভারতের কাছে সাহায্য চাও— সেই দেশ যারা কাশ্মীরি নারীদের মর্যাদা লঙ্ঘন করে। তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।”

আফগানিস্তানকে ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মুসলিম প্রতিবেশী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আহমেদ শরীফ বলেন, “আফগান জনগণ আমাদের ভাই। তবে কিছু অভিজাত গোষ্ঠী ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।”

তিনি আফগানদের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়ার অনুরোধ জানান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার সাহসী জনগণকে আহ্বান জানান, “আবার বলার সময় এসেছে— কাশ্মীর হবে পাকিস্তানের।”