০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজা শান্তি সম্মেলনে সহ-সভাপতির ভূমিকায় ট্রাম্প ও সিসি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমান কথা

গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর নেতারা আগামীকাল সোমবার মিশরের শার্ম এল-শেখ শহরে একত্রিত হচ্ছেন।
এই “গাজা শান্তি সম্মেলনে” সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি

আজ রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোহিত সাগরের তীরবর্তী পর্যটননগরী শার্ম এল-শেখে আয়োজিত এই সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক সম্মেলনের লক্ষ্য গাজা উপত্যকার যুদ্ধ অবসান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা। একইসঙ্গে “ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে ও মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণে নতুন পদক্ষেপ” নেওয়া হবে।

এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

ইউরোপীয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন সভাপতি আন্তোনিয়া কস্তা
সংগঠনটির মুখপাত্র জানান, “গাজা পরিকল্পনা ন্যায্য ও টেকসই শান্তির বাস্তব সুযোগ তৈরি করবে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।”

তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্মেলনে অংশ নেবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হোসাম বাদরান বলেন, “আমরা এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। আলোচনা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায়ই চলবে।”

এদিকে ইরানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যদিও চীন ও রাশিয়া অংশ নেবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বিশ্বের নজর এখন শার্ম এল-শেখের এই সম্মেলনের দিকে—যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০
বিজ্ঞাপন: ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৮২৪৯০৯০১০

গাজা শান্তি সম্মেলনে সহ-সভাপতির ভূমিকায় ট্রাম্প ও সিসি

আপডেট: ১১:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বর্তমান কথা

গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর নেতারা আগামীকাল সোমবার মিশরের শার্ম এল-শেখ শহরে একত্রিত হচ্ছেন।
এই “গাজা শান্তি সম্মেলনে” সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি

আজ রোববার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোহিত সাগরের তীরবর্তী পর্যটননগরী শার্ম এল-শেখে আয়োজিত এই সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশ নেবেন।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক সম্মেলনের লক্ষ্য গাজা উপত্যকার যুদ্ধ অবসান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা। একইসঙ্গে “ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কমাতে ও মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণে নতুন পদক্ষেপ” নেওয়া হবে।

এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

ইউরোপীয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন সভাপতি আন্তোনিয়া কস্তা
সংগঠনটির মুখপাত্র জানান, “গাজা পরিকল্পনা ন্যায্য ও টেকসই শান্তির বাস্তব সুযোগ তৈরি করবে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।”

তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্মেলনে অংশ নেবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার মুখপাত্র।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হোসাম বাদরান বলেন, “আমরা এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। আলোচনা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায়ই চলবে।”

এদিকে ইরানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যদিও চীন ও রাশিয়া অংশ নেবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বিশ্বের নজর এখন শার্ম এল-শেখের এই সম্মেলনের দিকে—যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।