ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় নীতিগত অনুমোদন ট্রাম্পের, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে
- আপডেট: ১০:০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
- / ৮৩
আন্তর্জাতিক ডেক্স , বর্তমান কথা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক হামলার পরিকল্পনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। যদিও এখনো চূড়ান্ত সামরিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি, তবে বিষয়টি ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমশ তুঙ্গে উঠছে।
ট্রাম্প তার শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনায় জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তবে তেহরান যদি শেষ মুহূর্তে কোনো সমঝোতায় আসে কিনা, সেটি দেখার জন্য আরও কিছু সময় নিচ্ছেন তিনি।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন:
“আমি হামলা করতেও পারি, নাও করতে পারি। আগামী সপ্তাহটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে— এমনকি সপ্তাহও লাগতে পারে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা একটি পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, কেবলমাত্র সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা দিয়েই এই স্থাপনাটি ধ্বংস করা সম্ভব।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,
“আমরা আত্মসমর্পণ করব না। যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা চালায়, তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।”
সাম্প্রতিক দিনে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে।
-
তৃতীয় একটি ডেস্ট্রয়ার মোতায়েন করা হয়েছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে।
-
একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ আরব সাগরের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
যদিও পেন্টাগন দাবি করছে, এটি প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি, বিশ্লেষকদের মতে এটি সক্রিয় সামরিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক হামলা চালায়, তবে এই মোতায়েন কৌশলগত সুবিধা দেবে এবং তেহরানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ সৃষ্টি করবে।
চলমান ইসরাইল-ইরান পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরানে মৃতের সংখ্যা ৪৫০ ছাড়িয়েছে, অন্যদিকে ইরানে চালানো হামলায় ইসরাইলে প্রাণ হারিয়েছে ২৪ জন।
এরই মধ্যে ইরান ফের হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরাইলের দিকে, যা পুরো সংঘাতকে আরও অস্থির করে তুলেছে।