আওয়ামী লীগ; তথ্য গোপন করায় ফেঁসে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
- আপডেট: ০৯:৪২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / ১৩৭
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্পদের তথ্য গোপন করেছিলেন—এমন প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনতে ইতোমধ্যে কমিশনে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, “নির্বাচনি বিধিমালা লঙ্ঘন করায় তার প্রার্থিতা বৈধ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
দুদক আরও জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে যে হলফনামা দাখিল করেন, তাতে তিনি স্থাবর সম্পদ এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ তিন কোটি ৪৭ লাখ টাকা দেখান। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তৎকালীন সময়ে তার প্রকৃত স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
দুদকের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, এই মিথ্যা তথ্য প্রদানের ঘটনায় দুদক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনানুগ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর চার মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনগুলো নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। শেষতক ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণআন্দোলনের মুখে তিনি দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষাকৃত প্রশ্নহীন ছিল, কিন্তু এবার দুদকের তদন্ত সেটিকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনা