খেলাধুলা প্রতিবেদক
গত ৩ আগস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপের আগ-মুহূর্তে এসে তার এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই সংকট নিরসনে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি।
অধিনায়ক হিসেবে বড় কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও ২০১১ বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। সেবার গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও ৩ ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ইংল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল টাইগাররা।
ঘরের মাঠের সেই বিশ্বকাপের ঠিক এক যুগ পর আবারো বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াইয়ে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব। তার আগে অধিনায়ক সাকিবের এই দফায় প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট এশিয়া কাপ। অভিজ্ঞতা আর ক্রিকেট মস্তিষ্ক সবমিলিয়ে আল হাসানেই আস্থা বিসিবির।
সাকিবের অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে খুশি প্রধান কোচ হাথুরুসিংহেও। তিনি বলেন, ‘সাকিবের অধিনায়ক হওয়া সবসময় ভালো। এটা এক ফরম্যাট বা তিন ফরম্যাট কোন বিষয় না। এখনকার দিনে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়া একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জের। কোচ-অধিনায়কের ভালো সমন্বয় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
নতুন করে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আগে কোয়ালিফাই(সুপার ফোরে) করতে হবে। একটা একটা ম্যাচ করে এগোতে চাই। প্রতিটি ম্যাচ চিন্তা করে ভালো ফলাফলের চেষ্টা করব। যদি সুযোগ থাকে সব ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।’