নিজস্ব প্রতিবেদক
যে নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়, সে নির্বাচন বিএনপি চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা নেই, তেমন দেশ আমরা চাই না। আমরা দীর্ঘদিন সেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকার শোনেনি। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমাদেরকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে 'অনলাইন প্রবাসী বিএনপি সমর্থক পরিষদ' নামের একটি সংগঠন।
নোমান বলেন, আজকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। একদফা মানেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে পরিবর্তন আনা। আজকে এ আন্দোলনে জন-সম্পৃক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সরকার কিছুতেই এই জন দাবি মানতে চাইবে না। কারণ তারা জনবিচ্ছিন্ন। এ সরকারকে আজ দেশ-বিদেশের সবাই ধিক্কার জানাচ্ছে।
সরকার নিজেদের মতো সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছে উল্লেখ করে নোমান বলেন, আমরা তা মানি না। সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। আসলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে জনতার ঢল দেখে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে, বুলেটের চেয়ে ব্যালট বেশি শক্তিশালী। জনগণ এবার তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, সারাদেশকে এ সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। এখন শ্মশান বানাতে চায়। তাই জনতার আন্দোলন দমাতে একের পর হত্যা করে যাচ্ছে। গ্রেপ্তারের নামে আটক করে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। পাখির মতো গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। আসলে এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। বললেই খুন হতে হবে। যেমনটি হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে।
জিয়া প্রজন্ম দলের চেয়ারম্যান পারভীন কাওসার মুন্নীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।