• শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি ॥ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাজউক কর্মকর্তার সিন্ডিকেট দুদকের জালে প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গুইমারা বাজারে সরকারি ড্রেন দখল করে প্লট নির্মান, নিরব প্রশাসন দাম কমালো জ্বালানি তেলের কোম্পানীগঞ্জে বন্যার পানির তীব্র চাপে ভেঙে গেলো মুছাপুর স্লুইসগেট মোংলায় মন্দির পাহারা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড তাড়াশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন রামগড়ে ইউ.পি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা, বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে অবৈধ অস্ত্র সহ যুবক আটক!

স্মার্ট আইডি কার্ডধারীরা সরকারের ৮৩ ধরনের সেবা পাচ্ছে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ গড়ে তুলতে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্টাকচার অথবা ডিপিআইকে সক্ষমতার চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করছে। গত ১৪ বছরে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এরই মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, সুলভ ও সহজলভ্য ইন্টারনেট, ডিজিটাল যাচাইযোগ্য পেমেন্ট প্লাটফর্ম, স্মার্ট ভেরিফাইয়েবল আইডি এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার নিশ্চিত করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে নাগরিক সচেতনতা তৈরি করায় দেশে এখন ১৩ লাখ মানুষ ইন্টারনেট সংযুক্ত। লক্ষাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৮০ হাজার সরকারি অফিসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি এবং একটি মাত্র মোবাইল অ্যাপ থেকে এসব সেবা মিলছে। এ ছাড়াও ১২ কোটি স্মার্ট আইডি কার্ডধারী সরকারের ৮৩ ধরনের সেবা পাচ্ছে ।

আজ (শনিবার) ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ফোরাম জি-২০ আয়োজিত ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত অনেক উন্নত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল জন অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের ব্যবহৃত টুলগুলো ব্যবহার করতে বাংলাদেশ আগ্রহী। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণে এনপিসিআই, আরবিআই, ই-গভ ফাউন্ডেশন একটেক এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়নের বিষয়ে একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন।

পলক বলেন, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর এখন দেশে ৭১ মিলিয়ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ওয়ালেট সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে আন্তঃলেনদেনের প্লাটফর্ম ‘বিনিময়’ স্থাপনের পর এখন সব ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে ও অ্যাকাউন্টের মধ্যে আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের সব সরকারি সংস্থাগুলো এখন ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট প্লাটফর্ম ‘মিয়াবাস’ ব্যবহার করছে।

তাছাড়া জি-২০ জোটভুক্ত প্রত্যেক দেশের সমান অংশীদারিত্ব অটুট রাখতে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সহযাত্রী হিসেবে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ভারতের ইলেকট্রনিক্স ,তথ্যপ্রযুক্তি ও রেল যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মিশর, মরিশাস , নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, আরব আমিরাতসহ জোটভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ