নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্রদলের এক নেতার খোঁজে গিয়ে নিখোঁজ আরও পাঁচজন, তুলে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন দলের কয়েকজন নেতা। তাঁরা জিসানের বাসায় পৌঁছার পর সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের তুলে নিয়ে যান। গতকাল রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তুলে নেওয়ার এমন অভিযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ের ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিসানের খোঁজ না পেয়ে কয়েকজন তাঁর বাসায় যান। সেখান থেকে তাঁদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, জিসানের সঙ্গে গতকাল বেলা ১১টা থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে না পেরে রাজধানীর আজিমপুরে তাঁর বাসায় যান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ। সেখান থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের তুলে নিয়ে যান।
এ দিকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিবৃতিতে তিনি ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলীয় কোনো নেতা–কর্মীকে বেআইনিভাবে আটকের পর অস্বীকার করা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের অমানবিক ঘটনা প্রতি দিন ঘটাচ্ছে। আটকের পর অস্বীকার করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকার বিরোধী দল নিধনে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ছাত্রদল নেতাদের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তাঁদের পরিবার ও বিএনপি নেতা–কর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাঁদেরকে প্রকাশ্যে উপস্থিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটি নিশ্চিত যে, তাদেরকে সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে। সুতরাং এ মুহূর্তে তাঁদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’