নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে প্রোটিনের অন্যতম সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের বাড়তি দাম নতুন চাপ তৈরি করেছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে পড়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে একটি সভা হচ্ছে। সভা শেষে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন।
রোববার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মাছ, মাংসসহ খাদ্য-পণ্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাধারণ মানুষের ত্রাহি অবস্থা। এ অবস্থায় নতুন করে ডিমের বাড়তি দাম বিপাকে ফেলেছে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষকে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিস ডিমের দাম অন্তত তিন টাকা বেড়েছে। খুচরায় প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী এবং অংশীদারদের নিয়ে আমরা আজকে একটা সভা করছি। সভার পরে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে দেশের মানুষের আমিষ জাতীয় খাদ্যের বড় একটি বড় উৎস ডিম। এক্ষেত্রে যাতে অস্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি না হয় সে বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে যতটা করণীয়, আজকের সভায় সবার মতামত শুনে আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
ডিম আমদানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের একটি সভা চলছে, সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব জায়গায় একটি প্রশ্ন সবার। সেটি হচ্ছে, মাছ-মাংস কিংবা ডিমের দাম বাড়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব শুধু বাজার তদারকির। দাম বাড়ানো-কমানো, উৎপাদন খরচ থেকে শুরু করে সার্বিক বিষয়টি দেখে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আবার অন্য জায়গা থেকে বলা হয়, এটি কৃষি বিতরণ কেন্দ্র থেকে দেখবে। মূলত এ দায় দায়িত্ব কাদের, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সভার সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এই যে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানো হলো, সেটি নিশ্চয়ই কোনো না কোনো পক্ষ থেকে হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কি কোন উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবে না? কারা-কীভাবে এই জিনিসটা করল, এটি খুঁজে দেখার কোনো তাগিদ কি মন্ত্রণালয় অনুভব করে? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, আমাদের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, আলোচনার পরে আমরা এ বিষয়ে কথা বলব।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাঝখানেই ‘ধন্যবাদ মিটিংয়ের পরে আমরা জানাব’ বলে উঠে যান মন্ত্রী।