ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিশ্বজুড়ে ট্রফি-ভ্রমণের অংশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রদর্শনী চলছে আইসিসির বিশ্বকাপ ট্রফির। স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের পর আজ (মঙ্গলবার) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা এর সংস্পর্শ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে ট্রফিটির সঙ্গে ছবি তুলছেন টাইগার ক্রিকেটার ও বিসিবির কর্মকর্তারা। বলছেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশার কথাও।
এই সময় বিশ্বকাপ যাত্রা ও উত্তরসূরীদের কাছ থেকে চাওয়ার কথা জানান সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘বিশ্বকাপ খেলাটাই আসলে বিশেষ কিছু। নতুন আশা নিয়ে প্রতিটা বিশ্বকাপ আসে, আমাদের সেই আশা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমরা যখন প্রথম শুরু করেছিলাম, আর এবারের বিশ্বকাপটা শুরুর আগেও পরিবর্তন হয়েছে প্রত্যাশার মাত্রা। এবারের আসরে আমার মনে হয় আশাটা সবারই একটু বেশি। কারণ গত দুই বছর ধরে খুব ভালো খেলছি আমরা, বিশেষ করে ৫০ ওভারের সংস্করণে।’
বিশ্বকাপ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত বাশার। ট্রফি স্পর্শের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাশার বলেন, ‘ট্রফিটা ছুঁতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকে। যদি জয়ের পরে উন্মুক্ত ট্রফিটা ধরতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’
এর আগে গত রোববার (৬ আগস্ট) মধ্যরাতে বাংলাদেশে আসে বিশ্বকাপ ট্রফি। আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো একটা বিশেষ স্থানে বা স্থাপনার সামনে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করার রীতি আছে। এর আগেরবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ট্রফির ফটোসেশন করা হয়েছিল। এবার বেছে নেওয়া হয় পদ্মাসেতুকে। গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধন হওয়া ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু এখন দেশের অন্যতম একটি আইকনিক স্থাপনা ও গর্বের প্রতীক।
তিনদিনের সফরের দ্বিতীয় দিন আজ ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্রিকেট সংগঠক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের। এরপর আগামীকাল (বুধবার) ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফিটি প্রদর্শন করা হবে। নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব থেকে ভক্তরা এর সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। তবে এজন্য লাগবে না কোনো টিকিট।