নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী খেলোয়াড়দের ওপর হামলার ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।

ধর্মের নামে, পোশাকের নামে ও কাজের নামে নারী বিদ্বেষী মনোভাব পোষণকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে তাদের বিচারের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রতিনিধি দিলীপ সরকার; মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর মহুয়া লেয়া; অ্যাকশন এইডের নুরুন্নাহার; নারীমুক্তি সংসদের শিউলি সিকদার; নারী ঐক্য পরিষদের শাহানা ফেরদৌস লাকি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, কর্মজীবী নারীর জোবাইদা উর্মি এবং ঢাকা ওয়াইডব্লিউ সিএ-এর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অগ্রযাত্রার পথে অবদান রেখে চলা নারীর প্রতি একেরপর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে সমাজের নারীবিদ্বেষী মনোভাবের কারণে। নারী-বিদ্বেষী মনোভাবকে এখন কেবল পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব বলে আর চালিয়ে দেওয়া যাবে না। বিগত সময়ে নারী খেলোয়াড়দের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত হলে আজ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতো না।

তারা আরও বলেন, নারীবান্ধব, খেলাধুলাবান্ধব এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও নারীদের খেলাধুলার জন্য অপদস্থ করার ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা নারী খেলোয়াড়দের প্রতি হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বাধাসৃষ্টিকারী মৌলবাদী ও নারী বিদ্বেষী শক্তিকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীকে তার লিঙ্গীয় পরিচয়ের কারণে বারবার নির্যাতন, হয়রানি ও অবমাননার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কিত, তারপরেও বিচ্ছিন্নভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষের কাজে, চলাচলে, জীবনযাপনে কোনো বিভাজন নেই। বলেন, নারীদের সম-অধিকার ও সমসুযোগ নিশ্চিত করতে হলে পরিবর্তনের ধীর গতি দূর করতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে ও বিচার প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে হবে যাতে সহিংসতার শিকার নারীরা দ্রুত বিচার পেতে পারে।