ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এ কে এম মকছুদ আহমেদ স্যারকে। ৭৯ তম জন্ম দিনে আপনার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি। পর্বতে সাংবাদিকতার অনুপ্রেরণার উৎস্থল আপনিই। দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক নয় শুধু, তিঁনি পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক। আমাদের দিকনির্দেশক এই পাইওনিয়ার লেখক পর্বতের জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত লিখনি আমাদের চলার পথকে মসৃণ করে তুলেছে। পাহাড়ের সাংবাদিকতায়, শিক্ষায় আজকে এই অনুকুল অবয়ব তৈরি করতে যে ক'জনের ত্যাগ তিতিক্ষা রয়েছে; তাদের অগ্রভাগে রয়েছে জনব একে এম মকছুদ আহমেদ স্যার। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে শিক্ষার আলোর মশাল হাতে এই গিরি আঙ্গিণায় নিজেকে উৎসর্গ করেন তিঁনি। জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে স্বপক্ষীয় যোদ্ধাদের সাথে সক্রিয় হতে পারেন নাই। কিন্তু তৎকালীন হায়েনা শাষকের নাগাল এড়িয়ে সংগোপনে তিঁনি মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য যুবকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। লেখক কবি সাহিত্যিক প্রভা রাণী ধরের ভাষায় 'একে এম মকছুদ আহমেদ একজন গিরিবাজ'। সত্যেই তিঁনি গিরিবাজ। নচেত চট্টগ্রাম জেলার উন্নত সমৃদ্ধ এলাকা মীরসরাই উপজেলা জন্ম নেয়া মানুষটি কেনই বা বহু জুজুরভয় আর রক্ত চোক্ষুর তোয়াক্কা না করে, নিজেকে বিপদ সংকুলান পর্বতে ঠাঁই করে নিলেন(!)। প্রবল ইচ্ছে শক্তি বুকে ধারণ করে পাহাড় জঙ্গলের অন্ধকার ছিন্ন করে, ১৯৬৯ সালে দৈনিক আজাদী, ১৯৭৩ সালে দৈনিক জনপদ, ১৯৭৪ সালে দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় বৃহত্তর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদাতা। বিবিসি, বেতার, আরো কয়েকটি বাংলা ইংরেজি পত্রিকায় তুলে আনতেন পাহাড়ের নানান সংবাদ, নির্মমতা, সম্ভাবনা, সমস্যা উত্তোরণের দিকগুলো। এককালে মুসলিম সমাজে দ্বীনি চেতণায় রাঙ্গামাটির হ্রদের তীরে মসজিদ প্রতিষ্ঠায়ও ছিল তাঁকে স্বরণে রাখার মতন অবদান। জলে ভরা দ্বীপ সাদৃশ্য জঙ্গালাকীর্ণ রাঙ্গামাটির পাহাড়ে শিক্ষার আলোর মশাল হাতে যার গমন। তিঁনিই আমাদের পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক, আমাদের পাহাড় সাংবাদিকতার জনক জনাব একে এম মকছুদ আহমেদ স্যারের দীর্ঘায়ু কামণা করি। লেখক: সম্পাদক 'লামার আলো' সাধারণ সম্পাদক লামা প্রেসক্লাব, সাবেক সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা আলীকদম প্রেসক্লাব।